ক্রীড়া ডেস্ক,
গত ১৯শে জানুয়ারি এসি মিলানে যোগ দিয়েছিলেন মারিও মানজুকিচ। এক মৌসুমের জন্য ইতালিয়ান সিরি আ’র ক্লাবটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন এই ক্রোয়াট। কিন্তু সান সিরোতে যুতসই সময় কাটেনি মানজুকিচের। চোটের কারণে মৌসুমজুড়ে মাত্র ১১ ম্যাচে মাঠে নামেন তিনি। তার প্রভাবে পেশাদারি ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত না করার সিদ্ধান্ত নিলেন মানজুকিচ।
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছেন দুই বছর আগে। খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ক্লাবের হয়ে। শুক্রবার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পেশাদারি ফুটবল থেকেও অবসরের ঘোষণা দেন ৩৫ বছর বয়সী মানজুকিচ।
২০১৮ সালে বিশ^কাপের ফাইনালে পৌঁছায় ক্রোয়েশিয়া। তবে ফ্রান্সের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ক্রোয়াটদের।
দেশকে প্রথমবারের মতো বিশ^ মঞ্চের ফাইনালে পৌঁছাতে অসামান্য অবদান ছিল মানজুকিচের। সেবার ৩টি গোল করেছিলেন সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ-জুভেন্টাস তারকা। অ্যাসিস্ট করেছিলেন ১টি। ওই বিশ্বকাপের পরের মাসেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান মানজুকিচ।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে ২০০৭ সালে অভিষেক হয় মানজুকিচের। জাতীয় দলের হয়ে ৮৯ ম্যাচে ৩৩ গোল করা মানজুকিচ ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে লম্বা সময় কাটান জুভেন্টাসে। ২০১৫ সালে আটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে তুরিনের দলটিতে আসেন। সেখানে খেলেন পাঁচ বছর। এরপর ছয় মাস কাতারের ক্লাব আল দুহাইলে খেলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যোগ দেন এসি মিলানে।
ইতালিতে সব মিলিয়ে চারটি লিগ, তিনটি ইতালিয়ান কাপ ও দুটি ইতালিয়ান সুপার কাপ জেতেন মানজুকিচ। তবে মিলানে সময়টা ভালো কাটেনি তার। শেষ পর্যন্ত তাই বিদায় বলে দিলেন পেশাদারী ফুটবলকেই।
২০১২ সালে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন। সেখানে দুই বছরের ক্যারিয়ারে মানজুকিচ জেতেন দুটি বুন্দেসলিগা, একটি চ্যাম্পিয়নস লীগ ও একটি ক্লাব বিশ্বকাপ।
সব মিলিয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারে ৫০৮ ম্যাচে ১৯৭ গোল আছে তার নামের পাশে। দুইবার হয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার বর্ষসেরা ফুটবলার।
বিএসডি/এএ