ঢালিউডের টক অব দ্য ইন্ডাস্ট্রি এখন বিদ্যা সিনহা মিমের বাগদান ও বিয়ের প্রসঙ্গ। বুধবার (১০ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি আংটি বদল করেছেন। ইতোমধ্যে বাগদানের ছবি, হবু বরের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। তার নাম সনি পোদ্দার। পেশায় একজন ব্যাংকার।
জানা গেছে, সনির সঙ্গে মিমের ৬ বছরের প্রেম। এরপরই তারা সেটাকে পূর্ণতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু কীভাবে শুরু হয়েছিল এই সম্পর্কটা? আর কীভাবেই বা তারা এতোদিন লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করেছেন? সেই গল্প অকপটে ঢাকা পোস্টের কাছে জানালেন নায়িকা।
মিম বলেন, “ওর সঙ্গে আমার পরিচয় সানজিদা অর্নি নামের এক বান্ধবীর মাধ্যমে। সেটাও আবার ফেসবুকে। অর্নির সঙ্গে সনি তখন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডে চাকরি করতো। অর্নি আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করত আমার লাইফে কেউ আছে কিনা, কারো সঙ্গে প্রেম করি কিনা। আমি একবার মজার ছলেই ওকে বললাম, খোঁজ পেলে দেখ। এরপর ও বলে, ‘দোস্ত একটা ভালো ছেলে আছে। কথা বলবি?’ আমি সরাসরি না করে দেই। কারণ চিনি না, জানি না, কেন কথা বলব!”
গল্প এগিয়ে মিম বললেন, ‘অর্নি বলল, বন্ধু হিসেবেই কথা বল। তাই নরমালি বন্ধু হিসেবে কথা বলা শুরু। ফেসবুকে তিনজন মিলে গ্রুপ খুলল। সেই গ্রুপেই কথা বলতাম আমরা। কিছু দিন কথা বলার পর সনি আর আমি মিলে আলাদা কথা বলা শুরু করি! এটা আমার বান্ধবীও জানত না। ও জিজ্ঞেস করত, কথা হয় কিনা। আমি বলতাম, না হয় না তো! অনেক দিন পরে গিয়ে ও জানতে পারে।’
ভালোবাসার কথাটা প্রথম কে বলেছিল? জবাবে মিম বললেন, ‘সনিই দিয়েছিল প্রস্তাবটা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরের ১১ তারিখ হবে হয়ত! আসলে তারিখটা নির্দিষ্ট করে মনে নেই। এগুলো ও খুব ভালোভাবে মনে রাখতে পারে।’
মিম জানিয়েছেন, বুধবার (১০ নভেম্বর) তার বাগদান হয়েছে। কিন্তু আরও অনেক আগে থেকেই তার হাতের অনামিকা আঙুলে আংটি দেখা গেছে। সেটার রহস্য কী? এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সম্পর্কের এক বছরের মাথায়ই ও আমাকে এই আংটিটা দিয়েছিল। সেটাই সারাক্ষণ পরে থাকতাম। তবে অফিসিয়ালি গতকালই (১০ নভেম্বর) আংটি বদল করেছি আমরা।’
মিম-সনির প্রথম দেখা কবে, কোথায়? এ প্রশ্নটাও রাখা হয় নায়িকার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘গ্লোরিয়া জিনস রেস্টুরেন্টে। এটা ২০১৬ সালেই। আমি আসলে তখন খুব নার্ভাস ছিলাম। কারণ প্রথম একটা মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। তার মধ্যে আবার ভয় ছিল, মা যদি জানে, তাহলে তো খবর আছে! আবার কেউ যদি দেখে ফেলে! সব মিলে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া ছিল। তাই বেশিক্ষণ ছিলাম না ওই দিন। অল্প কিছুক্ষণ থাকার পর তাড়াতাড়ি করে আবার বের হয়ে চলে আসি।’