ক্রীড়া ডেস্ক,
দুই মাস আগে শেষ হওয়া ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপটা ভালো কাটেনি ফ্রান্সের। জোড়া গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ সময়ে সুইজারল্যান্ডের রূপকথার প্রত্যাবর্তনের মাটি হয়ে যায় ফরাসিদের জয়ের স্বপ্ন। নক আউট পর্বের শুরুতেই ছিটকে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেই ধঁকল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচেও পোহাতে হয়েছে তাদের।
বাছাইয়ের সবশেষ দুই ম্যাচেই জয়হীন থাকতে হয়েছে ফ্রান্সকে। অবশেষে ফরাসিদের কক্ষপথে ফেরালেন অ্যান্তনি গ্রিজম্যান। বার্সেলোনা ফরওয়ার্ড করলেন ম্যাচের দুটো গোলই। তার দারুণ পারফরম্যান্সের ওপর দাঁড়িয়ে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ফিনল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। বাছাইয়ে টানা দুই ম্যাচ হোঁচটের পর এটা প্রথম জয় ফরাসিদের।
তব সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচ পর জয়ে ফিরল দিদিয়ের দেশামের দল। ইউরোতে জয় দিয়ে শুরু করা ফরাসিরা পর্তুগাল ও হাঙ্গেরির সঙ্গে ড্র করে। শেষ ষোলোতে ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকেও নির্ধারিত সময়ে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে ফরাসিরা। অবশেষে ড্রয়ের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে এলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
স্বস্তির জয়ের ম্যাচটা ফ্রান্স খেলেছে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ছাড়া। চোট নিয়ে মাঠের বাইরে আছেন পিএসজি ফরওয়ার্ড। তার অনুপস্থিতি অবশ্য বুঝতে দেননি করিম বেনজেমা ও গ্রিজম্যান। প্রথমজন অবশ্য কোনো গোল পাননি। তবে ফরাসিদের আক্রমণের মূল সুতোটা তিনিই বেঁধে দিয়েছেন। ম্যাচের দুটো গোলেই অবদান আছে তার। ২৫মিনিটে লিড নেয় স্বাগতিক ফ্রান্স।
বেনজেমার কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে গোল করেন গ্রিজম্যান। বিরতির আগে গোলের সুযোগ পেয়েছেন বেনজেমা এবং পল পগবা। প্রথমজনের শট প্রতিহত হয় ফিনল্যান্ড ডিফেন্ডারের সৌজন্যে। আর পগবার শট বেরিয়ে যায় গোলপোস্ট ঘেঁষে। ৫৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে ফ্রান্সের জয় নিশ্চিত করেন গ্রিজম্যান। এই গোলেই তিনি ছুঁয়েছেন কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনিকে।
৯৮ ম্যাচে ৪১ গোল হলো গ্রিজম্যানের। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় প্লাতিনি এবং গ্রিজম্যান এখন যৌথভাবে তৃতীয়তে আছেন। বার্সেলোনা ফরওয়ার্ডের এই গোলেও পরোক্ষ অবদান আছে বেনজেমার। ছয় ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রাখল ফ্রান্স।
বিএসডি/এএ