লাইফস্টাইল ডেস্ক,
আপনি কি স্মরণ করতে পারেন-সবশেষ কবে একটি বই হাতে তুলে নিয়েছেন এবং পড়ে শেষ করেছেন? পারবেন না নিশ্চয়ই! আজকাল কেন জানি সবাই বই পড়া থেকে সরে যাচ্ছেন! অথচ মন ও শরীর সুস্থ রাখতে এ অভ্যাস থাকা জরুরি। জেনে নিন প্রতিদিন বই পড়ার ১০ উপকারিতা-
# কল্পনাশক্তি বাড়ে
প্রতিদিন বই পড়লে কল্পনাশক্তি বাড়ে। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালঝেইমার রোগ এবং স্মৃতিলোপের ঝুঁকি হ্রাস করে।
# শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়
প্রবাদ আছে-যত পড়বে, তত শিখবে। নিয়মিত বই পড়লে প্রচুর শব্দ আয়ত্বে আসে। শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়।
# মানসিক চাপ কমে
প্রতিদিন পড়াশোনা করলে নানা বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। অসংখ্য বাস্তবতার সাক্ষাৎ মেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীরবে ছয় মিনিট বই পড়লে হৃদস্পন্দনের হার ধীর হয় এবং দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
# জীবন উন্নত হয়
বই পারিপার্শ্বিক ঝামেলা ভুলিয়ে দেয় এবং নিজের ওপর মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে। কাজ নিয়ে ব্যস্ত রাখে। ফলে জীবন উন্নত হয়।
# ঘুম ভালো হয়
ইদানিং ঘুমাতে যাওয়ার আগে সবাইকে মোবাইল-ল্যাপটপে সময় কম দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। পরিবর্তে বিছানায় গা গড়ানোর আগে কিছুক্ষণ বই পড়তে বলছেন তারা। এতে নিশ্চিন্তে ঘুম আসবে। সেটা হবে গভীর ঘুম।
# জ্ঞান বাড়ে
প্রতিদিন বই পড়লে অনেক তথ্য মাথায় গেঁথে যায়। বাস্তব জীবনে যা কাজে লাগে। মন প্রফুল্ল থাকে। বিশ্বকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার সক্ষমতা তৈরি হয়।
# স্মৃতিশক্তি বাড়ে
বই পড়লে বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব, তাদের চরিত্র, নানা ইতিহাস, সেগুলোর পটভূমি, কৃষ্টি-কালচার স্মরণে আসে। মস্তিষ্ক অনন্য জিনিস। যত চর্চা করা যায়, তত তা ক্ষুরধার হয়। নিয়মিত এ অভ্যাসে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
# সহানুভূতিশীল করে
গবেষণা বলছে, যেসব মানুষ কল্পকাহিনী পড়েন, তারা অন্য মানুষের তুলনায় সহানুভূতিশীল হন। সেভাবেই গড়ে ওঠেন তারা। ব্যক্তিত্ব সেভাবে গড়ে ওঠে।
# সৃজনশীলতা বাড়ে
প্রতিদিন বই পড়লে অন্যরকম সত্ত্বা তৈরি হয়। শিল্প-সাহিত্যের প্রশংসাসূচক বাণী মুখ দিয়ে বের হয়। এটি কেবল জ্ঞানই বৃদ্ধি করে না, বরং সৃজনশীলতা বাড়ায়। সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণে যা সহায়তা করে।
# লেখনিশক্তি বাড়ে
পড়াশোনা করলে শুধু শব্দভাণ্ডারই সমৃদ্ধ হয় না, পাশাপাশি লেখনীশক্তি বাড়ে। যতজন লেখকের বই পড়া যায়, ততজনের লেখনির ধরনে প্রভাবিত হতে হয়।ফলে লেখনীশক্তি বৃদ্ধি পায়।
বিএসডি/এএ