নিজস্ব প্রতিবেদক,
বগুড়া পৌরসভা কর্তৃক স্টেশন রোডে বিক্রিত মৌসুমী ফলের উপর আরোপিত টোল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১ টায় শহরের স্টেশন রোডে ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধনে সহস্রাধিক পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কয়েক দশক ধরে স্টেশন রোড এলাকায় রেলওয়ের জায়গা লিজ নিয়ে ফলের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। পৌরসভার কোনো জায়গা বা ব্যবস্থাপনা না থাকলেও সম্প্রতি পৌর কর্তৃপক্ষ ফলপট্টি এলাকা ইজারা দিয়ে টোল আদায় শুরু করে। লিজ নেয়া জায়গায় অযাচিত টোল আরোপের পাশাপাশি ইজারাদার ভ্যান এবং ঝুড়ি প্রতি দ্বিগুণ থেকে ৫ গুণ পর্যন্ত টোল আদায় করছেন।
অবিলম্বে টোল প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে ব্যবসায়ীরা।
বগুড়া ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সমিতির উপদেষ্টা ফল আমদানীকারক মনছুর রহমান, মুকুল হোসেন, সাবেক সভাপতি আফতাব হোসেন, মাহমুদ শরিফ মিঠু, সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আনাম তুষার, সমিতির নির্বাহী কমিটির স্বাধীন আহমেদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন, মামুন শেখ, আজমল হোসেন, সেকেন্দার কাজী, লাইজু খান, আইনুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম সোহাগ, আব্দুস সামাদ, হুমায়ন কবীর, রিমন ফকর, মোহাম্মদ আলী, নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, আকতার হোসেন প্রমুখ।
টোল প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্টেশন রোড, সাতমাথা, চাঁদনী বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম সড়কসহ শহরের বিভিন্ন এলাকা ও গোটা জেলায় ফলের পাইকারি ও খুচরা দোকান বন্ধ করে রাখেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি ঝুড়ি ফল ক্রেতার কাছে থেকে ৫ টাকা নির্ধারণ হলেও ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং প্রতি ভ্যান থেকে ২৩ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও সেখানে ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। টোল আদায়ের স্লিপে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
তবে পৌরসভার ইজারদার কানাইল লাল জয়সোয়াল ময়না অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্ধারিত হারেই টোল আদায় করা হচ্ছে।
পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক বিদেশী ফল বাদে দেশী ফলের উপর টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। পাইকারি ফল বাজারে আবর্জনা পরিষ্কার থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। এ কারণে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র।
বিএসডি/আইপি