নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্নের নামে আবারও ৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্মারক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আগুন, বুলডোজার ক্রেন দিয়ে খোদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে গুড়িয়ে দেওয়া হলো, তা ইতিহাসে এক ন্যাক্কারজনক কালো অধ্যায় সূচনা করলো।’ এই ঘটনায় ‘তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ’ প্রকাশ করে দলটি।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৫-৬ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী ছাত্র-জনতার ব্যানারে বুলডোজার কর্মসূচি একটি পরিকল্পিত জঙ্গিবাদী কর্মসূচি। পাকিস্তানি চেতনাগতভাবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা স্মারক ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বাঙালি জাতিসত্ত্বার প্রাণ ও বায়াত্তরের সংবিধান সবকিছুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের বিষয়ে অন্তবর্তী সরকার কঠোর বার্তা দিয়েছে। গতকাল থেকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও নৈরাজ্য বন্ধ করতে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরেক দফা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস থেকে বিরত থাকবেন এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি হওয়ায় কিংবা অন্য কোনও অজুহাতে দেশের কোনও নাগরিকের ওপর আক্রমণ করবেন না।’
ওয়ার্কাস পার্টির বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ‘একাত্তরের গণহত্যার জড়িত সেই শক্তিটি বর্তমানে রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে জায়গা করে নিয়ে প্রতিপক্ষ অসাম্প্রদায়িক শক্তি নিধনে নেমেছে। দুই দিনব্যাপী সারা দেশে যে তাণ্ডব চালানো হলো তা সরকার প্রশাসন তাকিয়ে দেখলো, কোনও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলো না পর্যন্ত।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সরকারের এই নির্লিপ্ততা ওই অপশক্তিকে এক ধরনের মদদ প্রদান ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকারের এই ভূমিকারও নিন্দা জানায় ওয়ার্কার্স পার্টি। অবিলম্বে সারা দেশে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, মানবাধিকার লংঘনের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তেরও দাবি করা হয় দলটির পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।