স্টাফ রিপোর্টার
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের দিন ২৫ সেপ্টেম্বরকে এবারও ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণা করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বারের মতো এই দিবস উদযাপিত হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের মুক্তধারার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশ্বজিত সাহা জানিয়েছেন, জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আরেকটি পালক যোগ হলো, তৃতীয়বারের মত নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে এই বিলটি পাশ করা। গত ২১ জানুয়ারি সিনেটর স্টেভেস্কি বিলটি নিউইয়র্ক স্টেটের আইন পরিষদে উত্থাপন করেন। ২৬ জানুয়ারি সর্বসম্মতভাবে বিলটি পাশ হয়। সিনেট রেজ্যুলেশন নম্বর- জে ০০১৯৭। নিউইয়র্ক স্টেট সেক্রেটারি আলেন্ড্রো এন পলিনো গত ১৪ মার্চ স্টেট গভর্নর স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্রের কপি ২০ জানুয়ারি বিতরণ করেছেন।
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশন ছিল। অধিবেশন কক্ষে সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রনায়ক ও সরকারপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশনে সভাপতির আসনে ছিলেন আলজেরিয়ার মুক্তি সংগ্রামের নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আবদেল আজিজ বুতেফ্লিকা। তিনি ‘বাঙালি জাতির মহান নেতা’ হিসেবে পরিচিতি দিয়ে বক্তৃতা মঞ্চে আহ্বান করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
বাঙালির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু আরোহণ করলেন বক্তৃতা মঞ্চে। প্রথম এশীয় নেতা, যিনি এই অধিবেশনে সবার আগে ভাষণ দেবেন। দৃপ্ত পায়ে বক্তৃতা মঞ্চে উঠে ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা শুরু করেন মাতৃভাষা বাংলায়। যে ভাষার জন্য ঢাকার রাজপথে বাঙালি বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, সেই ভাষায় প্রথম ভাষণ দেন জাতিসংঘে।এভাবে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষাকে বিশ্বদরবারে আবার ঠাঁই করে দিলেন। এর আগে ১৯১৩ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী জেনেছিল বাংলা ভাষার অমর আবেদন। এর ষাট বছর পর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে উচ্চারণ করলেন বিশ্বসভায় বাংলা ভাষার অমর শব্দগুচ্ছ।
সূত্র : বাসস
বিএসডি/এমএম