প্রথমে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে শুরু। এরপর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি আসর। এর পরপরই হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ। সেটা শেষ হতেই মাঠে গড়িয়েছিল দুই পর্বের জাতীয় লিগ। পাশাপাশি জাতীয় দল ঘুরে এলো নিউজিল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কা থেকেও। ওই দুই দেশে সিরিজ শেষে এখন চলছে লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ।
এরপর সব ঠিক থাকলে ৩১ মে শুরু হবে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট তথা প্রিমিয়ার লিগ। ওই লিগ শেষে টাইগারদের গন্তব্য জিম্বাবুয়ে। সেখানে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সবই খেলবেন তামিম, সাকিব ও মুশফিক, মুমিনুল, রিয়াদ-মোস্তাফিজ ও মিরাজরা।
এতো গেল বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডের খবর; কিন্তু দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংগঠন বিসিবির অভ্যন্তরীণ খবর কী? ক’জনই বা জানেন যে, কীভাবে চলছে দেশের ক্রিকেট? দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংগঠন বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদকাল যে প্রায় শেষ, সে খবর জানেন কতজন?
করোনার কারণে দেশের ক্রিকেট অনুরাগী, ভক্ত-সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা হয়তো ভুলেই গেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা বোর্ড পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে।
নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বে যে পরিচালনা পর্ষদ আছে, তার মেয়াদকাল শেষ হচ্ছে এ বছরই। চার বছর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভা হয়েছিল। তারপর নির্বাচিত হয়েছিল বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ।
এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করার আইনি ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষ করতে হবে। ভেতরের খবর, খুব নীরবে তার প্রাথমিক কাজ কর্ম শুরু হয়েছে।
ঢালাও বোর্ড নির্বাচন নিয়ে দেনদরবার, কাউন্সিলর নিয়োগ ও চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু না হলেও এজিএম ও নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে একটু-আধটু আলাপ আলোচনা কিন্তু চলছে।
বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের এক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে এজিএম অনুষ্ঠানের কথাবার্তা চলছে। হয়তো শিগগিরই দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে সভাপতি ধরেই আগামী চার বছরের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের কাজে হাত দেয়া হচ্ছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে নাজমুল হাসান পাপনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার মতো সে অর্থে কেউ নেই। তার বিপক্ষে কেউ বোর্ড সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন বা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ প্যানেল দাঁড় করানোর খবরও শোনা যায়নি এখনো। কাজেই ধরেই নেয়া হচ্ছে নাজমুল হাসান পাপন আগামী চার বছরও বোর্ড প্রধান থাকবেন। তার অবস্থান অনেক সুসংহত। তাই কোন প্রতিপক্ষ প্যানেল হওয়ার সম্ভাবনা কম।
খুব স্বাভাবিকভাবে তার আগে সংবিধান বা গঠনতন্ত্র নিয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন। বর্তমান গঠনতন্ত্র ঠিক আছে? মানে চার বছর আগে ২০১৭ সালে যে সংবিধান-গঠনতন্ত্রে নির্বাচন হয়েছিল, সেটাই বহাল থাকবে? নাকি নতুন সংশোধনী আনা হবে? সেটাই প্রথম বিবেচ্য এবং গঠনতন্ত্র-সংবিধান পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করতে হলে এজিএমই করে ফেলতে হবে। তার ওপর ভিত্তি করেই কাউন্সিলরশিপ মনোনয়ন এবং বোর্ড পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এখনো গঠনতন্ত্র ও সংবিধান সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন-পরিমার্জনের ঢালাও কথা শোনা যায়নি। ভেতরের খবর, কিছু সংশোধনী হয়তো আনা হবে। বিসিবি প্রধান এবং বোর্ডের নীতিনির্ধারকদের কেউ এখন পর্যন্ত নির্বাচন, তার আগাম প্রক্রিয়া সংবিধান-গঠনতন্ত্র এবং কাউন্সিলরশিপ নির্ধারণ নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
কিন্তু ভেতরে ভেতরে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। সেখানে হয়তো কিছু রদবদলের সম্ভাবনার খবরও শোনা গেছে। তবে সংবিধান-গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন, পরিবর্ধন আর নতুন কাউন্সিলরশিপ তৈরির বিষয়ে তেমন উচ্চবাচ্য না থাকলে একটা খবর মোটামুটি জানা হয়ে গেছে, তাহলো বোর্ড পরিচালনা পর্ষদে খুব বড় ধরনের না হলেও মোটামুটি পরিবর্তন আসছে।
অন্তত ছয়-সাতজন পরিচালক হয়তো থাকছেন না বা থাকার সম্ভাবনা খুব কম বলে জানা গেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য দু’জন পরিচালক মারা গেছেন। তার একজন হলেন বিসিবি দীর্ঘদিনের সঙ্গী আফজালুর রহমান সিনহা। অন্যজন নাজমুল করিম টিংকু।
কাজেই তাদের জায়গায় দুজন নতুন পরিচালক নিয়োগ দিতেই হবে। দু’জন নতুন মুখ আসবেনই। এর বাইরে আরও জনা চারেক পরিচালকের আগামীতে বোর্ড পরিচালক থাকার সম্ভাবনা আছে।
এর মধ্যে সবার আগে উঠে আসছে লোকমান হোসেন ভুঁইয়ার নাম। ক্লাব পাড়ায় ক্যাসিনো এবং মোহামেডান ক্লাবে ওই ন্যায়বহির্ভূত কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে অভিযুক্ত মোহামেডানের সাবেক ডাইরেক্টর ইনচার্জ তথা বিসিবির এ পরিচালক। তার ক্লাব মোহামেডানের পরিচালনা পর্ষদে এবার আর নেই লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারলেও তিনি নির্বাচন করেননি বা করার মতো অবস্থা ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, মোহামেডান ক্লাবের মতো বিসিবি পরিচালক পদও হারাচ্ছেন লোকমান হোসেন।
তাকে বাইরে রেখেই খুব নীরবে-নিভৃতে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বে প্যানেল সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। কাজেই প্রয়াত আফজালুর রহমান সিনহা, কায়সার এবং টিংকুর সাথে লোকমান ভূঁইয়ার বোর্ডে না থাকাও একরকম চূড়ান্ত।
পাশাপাশি আরও তিন থেকে চারজনকে নিয়েও কথা চলছে। যাদের আগামীতে বোর্ড পরিচালনা পর্ষদে থাকার সম্ভাবনা সত্যিকার অর্থেই কম। এদের মধ্যে আছে আহমেদ নজিবের নাম। আহমেদ নজিবের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি অসুস্থ। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে হয়তো থাকবেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলে তাকেও আগামীতে বোর্ডে দেখা নাও যেতে পারে।
এছাড়া বর্তমান বোর্ডের আরও দুজন পরিচালক আ জ ম নাসির উদ্দিন এবং হানিফ ভূঁইয়ার আগামীতে বোর্ডে থাকার বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন এবং ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্ত হানিফ ভূঁইয়ার বোর্ডে থাকার বিষয়টি নাকি এখনো ঝুলে আছে।
মাহবুব আনামের মতো দীর্ঘ সময় ওতপ্রোতভাবে জড়িত না থাকলেও এক যুগের বেশি সময় ধরে মোহামেডানের অন্যতম শীর্ষ ক্রিকেট কর্মকর্তা হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়ে ক্রিকেট ও ক্লাব পাড়ার পরিচিত মুখ হিসেবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠা হানিফ ভূঁইয়া মাঝে হঠাৎ করেই ভগ্নিপতির {জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি লে. কর্নেল (অব.) বজলুল হুদার শ্যালক} কারণে অযাচিত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এরপর থেকে বোর্ডের সাথে সম্পর্ক ছেদ না হলেও তাকে বোর্ডের কার্যক্রমে খুব একটা দেখা যায় না। তার বোর্ডে থাকা না থাকা নির্ভর করছে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের ইচ্ছের ওপর। তিনি চাইলেই হানিফ ভুঁইয়া এবারও হয়তো পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারেন। এমনিতে মোহামেডানের কোটায় (যদি মোহামেডান প্রিমিয়ার লিগে সুপার লিগে খেলতে পারে) তার কাউন্সিলর হওয়ার কথা, এছাড়া তার নিজেরই দল আছে প্রথম বিভাগে। সেখান থেকে হানিফ ভূঁইয়ার কাউন্সিলরশিপ নিশ্চিত।
এছাড়া পারটেক্স গ্রুপের শওকত আজিজ রাসেল এবার বোর্ডে নাও থাকতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত গতবারই তার বোর্ডে না থাকার কথা শোনা যাচ্ছিল। পরে তিনি থেকে গেছেন। এবার একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শওকত আজিজ রাসেলের আগামী নতুন পরিচালনা পর্ষদে না থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
চট্টগ্রামের জনপ্রিয় ও নামি সংগঠক আ জ ম নাছিরকে নিয়েও কানাঘুষা আছে। তিনিই থাকবেন নাকি চট্টগ্রাম থেকে আকরাম খানের সাথে কোন নতুন কাউকে দেখা যাবে? সেটাও নাকি এখনো নিশ্চিত নয়। জানা গেছে, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ আ জ ম নাছিরের বিষয়টিও নির্ভর করছে বোর্ড প্রধানের ইচ্ছের ওপর।
এর বাইরে এখন যারা বোর্ড পরিচালক হিসেবে আছেন, তাদের কাউকে নিয়ে সেভাবে কোনো কথা শোনা যায়নি। তবে মাহবুব আনাম, জালাল ইউনুস, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাইমুর রহমান দুর্জয়, শেখ সোহেল, কাজী ইনাম আহমেদ, গাজী গ্রুপের গাজী গোলাম মোর্তুজা পাপ্পা, সিলেটের নাদেল চৌধুরী, বরিশালের আলমগীর হোসেন আলো, রাজশাহীর সাইফুল ইসলাম, রংপুরের অ্যাডভোকেট আনোয়ার এবং পাবনার স্বপনের থাকা একরকম নিশ্চিত।
নতুন করে তিনটি নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তার দুজনই বয়সে তরুণ। অন্যজন হলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। জানা গেছে, আবাহনী লিমিটেডের একটি অংশ গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে বোর্ডে আনার পরিকল্পনা এঁটেছেন এবং তারা জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক, আইসিসি ট্রফি বিজয়ের অন্যতম নেপথ্য কারিগর এবং সাবেক বোর্ড কর্মকর্তা গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে বোর্ড পরিচালক করার চেষ্টাও করছেন। লিপু পাইপলাইনে আছেন। তাকে এবার বোর্ডে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
এছাড়া দেশের ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের সঙ্গী ও বিসিবির সাবেক অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা প্রয়াত আফজালুর রহমান সিনহার ছেলে ফাহিম সিনহাকেও এবার বোর্ডে দেখা যেতে পারে। অনেকেরই মতো পিতার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ফাহিম সিনহা।
পৈতৃক সূত্রে দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ একমি গ্রুপের অন্যতম পরিচালক ফাহিম সিনহা প্রয়াত পিতার অবর্তমানে আবাহনী হকি কমিটির সঙ্গে নিবিঢ়ভাবে জড়িত। এছাড়া পিতা আফজালুর রহমান সিনহা যে ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেট ক্লাবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও ডোনার ছিলেন, সেই সূর্যতরুণ ক্লাবের সাথে আগেই যুক্ত হয়েছেন ফাহিম। এর বাইরে করপোরেট লিগ ও মাস্টার্স কাপেও তার সম্পৃক্ততা নিবিঢ়। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলগুলোর ম্যানেজার হিসেবেও এরই মধ্যে দায়িত্ব পালন করেছেন ফাহিম।
ওদিকে ক্রিকেট পাড়ার পরিচিত মুখ ওবায়েদ নিজামেরও এবার বোর্ডে আসার সম্ভাবনাও প্রবল বলে জানা গেছে। ব্যক্তিজীবনে খালেদ মাহমুদ সুজন ও আবাহনী চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ছেলে সায়ান রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ওল্ডডিওএইচ ও সাইনপুকুর দলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা ওবায়েদ নিজাম। ঢাকার ক্রিকেট ক্লাব পাড়ায় বিচরণ প্রায় দেড় যুগের।
এছাড়া বিপিএলের অন্যতম দল ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রধান নির্বাহীও ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ ওবায়েদ নিজাম। যতদূর জানা গেছে, এদের দু’জনারই আগামী বোর্ডে থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এর বাইরে মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির নতুন চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামানের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। এছাড়া আরও কজন তরুণ শিল্পপতি, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ক্রিকেট অনুরাগীর নামও শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্য থেকেও কাউকে বিসিবি পরিচালক হিসেবে দেখা দেখা যেতে পারে।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর সাথে চমক হিসেবে জাতীয় দলের আরও কয়েকজন সাবেক অধিনায়কের বোর্ডে দেখা মিলতে পারে। সেই তালিকায় মাশরাফি বিন মর্তুজা আর হাবিবুল বাশারের নামও আছে। মাশরাফি বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে চাইলেই হয়তো হতে পারবেন।
তিনি এখনো সে ইচ্ছের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেননি। তবে জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার এবার কুষ্টিয়া থেকে কাউন্সিলর হচ্ছেন। এখন হাবিবুল বাশার সুমন কী নির্বাচন করবেন নাকি নির্বাচক পদেই বহাল থাকবেন? তার উত্তর দেবে সময়।