নিজস্ব প্রতিবেদক
সপ্তাহখানেক আগে জানা যায়, ঈদুল আজহার পর বন্ধ হয়ে যাবে দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহ মধুমিতা। সিদ্ধান্তটি জানান প্রেক্ষাগৃহটির স্বত্বাধিকারী ইফতেখার নওশাদ। তবে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ।
আপাতত মধুমিতা বন্ধ হবে না। খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রেক্ষাগৃহের স্বত্বাধিকারী ইফতেখার নওশাদ।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইফতেখার নওশাদ বলেন, ‘আমাদের এক রকম সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। পরে আবার পরিচালনা পর্ষদের সবাই মিলে মধুমিতা নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করেন। এরপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন যে, আপাতত সিনেমা হল বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো, তাতে যাচ্ছেন না তারা। আমরা যদি সিনেমা হল বন্ধ করি, তাহলে সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে জানাব।’
বলা প্রয়োজন, ৫৮ বছর আগে চালু হয় দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহ মধুমিতা। গত সপ্তাহে ইফতেখার নওশাদ জানান যে, ঈদুল আজহার পর প্রেক্ষাগৃহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর সেখানে গড়ে তোলা হবে বহুতল ভবন। তবে রাখা হবে সিনেপ্লেক্স।
১৯৬৭ সালের ১ ডিসেম্বর মধুমিতা সিনেমা হলের উদ্বোধন করেছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার বিচারপতি আবদুল জব্বার খান। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সিরাজ উদ্দিন হলটির প্রতিষ্ঠাতা। এখন হলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজ উদ্দিনের ছেলে ইফতেখার উদ্দিন। সিরাজ উদ্দিনের চার ছেলেই হলটির মালিক এখন। মধুমিতা সিনেমা হলে একসঙ্গে বসে ১ হাজার ২২১ জন দর্শক সিনেমা দেখতে পারেন।