জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারি জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় গৃহহীন পরিবারের পাশে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দাড়িয়েছেন লন্ডনে চিকিৎসাধীন ব্যরিষ্টার ইমরান কবির চৌধুরী জনি।
গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের সব কয়টা গেট খুলে দেওয়ার কারণে নীলফামারী জেলার অন্তর্গত ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। আকস্মিক হওয়া এই বন্যার কারণে তিস্তার তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠে যায়। ঘরবাড়ি ছেড়ে মানুষজন নদীর পাশে রাস্তায় অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় নেওয়া এসব মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেন লন্ডনে চিকিৎসাধীন ব্যরিষ্টার ইমরান কবির চৌধুরী জনি। গ্রামে না থেকেও অসহায় মানুষকে তার প্রতিনিধির মাধ্যমে সহযোগিতা পাঠান তিনি।
ব্যরিস্টার ইমরানের পক্ষ থেকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মাস্টার ত্রাণ বিতরণ করেন। এসময় কয়েকশ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ নিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন বন্যার কারণে ঘরবাড়ি তে পানি উঠে গেছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি। রান্না করার মতো পরিস্থিতি এখানে নেই। শুকনা খাবার খেয়েই একখন পর্য়ন্ত রয়েছি। প্রথম কোনো ব্যক্তি ত্রাণ দিলেন। এই শুকনা খাবার দিয়ে কয়েকদিন চলে যাবে। ব্যরিস্টার ইমরানের মতো সমাজের বিত্তশালীরা যদি আমাদের পাশে দাড়াতেন তাহলে আমাদের কষ্ট কিছুটা লাগব হতো।
এই বিষয়ে ব্যরিষ্টার ইমরান কবির চৌধুরী জনি বলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমি আমার এলাকার বন্যার খবর দেখতে পাই। বন্যায় অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য নিজ সামর্থ অনুযায়ী আমি তাদের আমার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সাহায্য করি। সমাজের সকল বিত্যবান মানুষ যদি তাদের সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য করে তাহলে তাদের দুর্ভোগ অনেকটা লাগব হবে।
তিনি আরো বলেন তিস্তা প্রকল্প নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একনেকে যে বাজেট পাশ করেছেন তা বাস্তবায়ন হলে তিস্তার তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের কষ্ট লাগব হবে।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে ব্যরিস্টার ইমরান কবির চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝেও তিনি অর্থসহায়তা করেন।