নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে বরিশাল বিএনপির কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরীর অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ বলছে, লাঠিচার্জ নয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেতাকর্মীদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, কর্মসূচি সফল করতে লোকজন আসতে শুরু করলে বিনা উসকানিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাধা দেয় ও লাঠিচার্জ করে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান নান্টু বলেন, কর্মসূচির অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তারপরও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সমাবেশস্থল ঘিরে রেখে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। খণ্ড খণ্ড মিছিল দলীয় কার্যালয়ে যেতে চাইলে সদর রোড ও অশ্বিনী কুমার হলের সামনে তিন দফায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
তবে লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করে কোতয়ালি সার্কেলের সহকারী কমিশনার শারমিন সুলতানা রাখি বলেন, কাউকে লাঠিচার্জ করা হয়নি। মূলত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। কারণ সদর রোডে বড় বড় মিছিল নিয়ে গেলে যানজটের সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভোটার বিহীন নির্বাচনের সরকার রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। কিন্তু সরকার জানে না, বিএনপির নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছে। তাদের ওপর লাঠিচার্জ, মামলা-হামলা করে আর আটকে রাখা যাবে না।
বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা জানেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার সামনে সরকারের জনপ্রিয়তা কিছুই না। এ কারণে বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রেখেছে। তার সুচিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকার বিচার বিভাগে নগ্ন হস্তক্ষেপ করে খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে এখন মৃত্যু কামনা করছে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান নান্টু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন মেবুল, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহ, কোতয়ালী বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চু, কৃষকদল সভাপতি এইচ.এম. মহসিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অধ্যাপিকা ফারহানা তিথি, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার জিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ প্রমূখ।