জবি প্রতিনিধি :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে শরৎ উৎসব (১৪২৯) উদযাপন করা হয়েছে।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে শরৎ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এমবিএ প্রফেশনাল প্রোগ্রামের ডিরেক্টর অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান।
শরৎ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘এ শরৎ উৎসব আমাদের সাংস্কৃতির একটি অংশ। এ ধরনের অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গন পিছিয়ে আছে বলে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে।’
উপাচার্য আরও বলেন,’ আমরা চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতি, খেলাধুলার অঙ্গনে এগিয়ে যাবে। তাহলে তাদের মানসিক শক্তিতে উন্নতি ঘটবে। ‘
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমি অত্যন্ত অভিভূত শরৎ উৎসবের আয়োজন দেখে। বিবিএ শিক্ষার্থীরা শুধু লাভ – ক্ষতির হিসাবই করে না সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এগিয়ে থাকে সবসময়।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন বলেন,’ বাঙালির সংস্কৃতির অংশ হিসেবে শরৎ উৎসব করে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দেশাত্মবোধে জাগিয়ে তুলার জন্য চেষ্টা করছি এবং আমাদের এ আয়োজন বাঙালির সংস্কৃতির সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিবে।’
এ সময় বক্তারা আরো বলেন , ‘বর্ষার পর প্রকৃতিতে একটি শান্ত-স্নিগ্ধ রূপ আবির্ভূত হয়। নদীর দু’পাড়ে বিস্তীর্ণ দিগন্তে শুভ্র কাশফুলের দোলা, গাঢ় নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, ঘরের আঙ্গিনায় শিউলী ফুলের ঝরে পড়া, খালি পায়ে শিশিরে সিক্ত হওয়া- এসব আমাদের শরতের আগমনের জানান দেয়।’
ঋতু বৈচিত্র্যের এ বাংলাদেশের মানুষের উৎসব প্রিয়তার কারণে এখানকার সংস্কৃতিতে নানা সময় নানা উপাদান যুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো এসব ঋতুভিত্তিক উৎসব।
বিএসডি/এমএইচ