‘আমি অনেকবার বলেছি আপনাদের সবসময় যেটা বলি যেটা “দিস গভর্মেন্ট ইস ফ্যাসিস্ট গভর্মেন্ট”। এদেরকে নির্ভরই করত হয় আমলাদের ওপর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরে এবং অন্যান্য যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে তাদের ওপরে। অন্যান্য ব্যবস্থাগুলোকেও তারা দলীয়করণ করে ফেলেছে। এ অবস্থায় মুক্ত সাংবাদিকতা করা সম্ভব নয়। ’
আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে ছয়জন কর্মকর্তাকে বদলি করা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বদলি করা এটা কোনো সমাধান নয়। ওদেরকে সাথে সাথেই বরখাস্ত করা উচিত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া দরকার ছিল এবং তাদেরকেই কারাগারে নেয়া দরকার ছিল। এটা করলে তাও সাংবাদিকরা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাবে। ’
‘গতকালকেও আমি যেটা বলেছি- সংবাদকর্মীরা যেন সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে না পারে এবং বিশেষ করে চুরি-দুর্নীতির ঘটনাগুলো প্রকাশ করতে না পারে এজন্যই তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের যে ঘটনা এটাতে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের যে স্বাধীনতা সেটা একেবারেই নেই। আজকে রোজিনা ইসলামের ওপর যেভাবে প্রায় ২৩ ঘণ্টা শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের করে আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে; কারাগারের মধ্যেও তাকে সাধারণ কয়েদির সঙ্গে রেখে দেয়া হয়েছে’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
এসময় ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান জাহিদ, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিস, জেলা আইনজীবী সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূর করিমসহ দলের বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।