উপাচার্য আরও বলেন, সাবেক উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে কিছু লোককে কাজ দিয়েছিলেন। তাঁদের কোনো নিয়োগ আদেশ নেই। দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কিছু টাকা তাঁদের দিতেন। তিনি যোগদানের পর তাঁদের মধ্য থেকে যাঁরা হতদরিদ্র, তাঁদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কিছু টাকা দিয়েছেন। এত লোক এখানে প্রয়োজন নেই। কী করে তাঁদের কাজে লাগাবেন।
উপাচার্য বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা মনে করেছেন, জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু নিয়োগ আসতে পারে। তাই তাঁরা নিয়োগ পাওয়ার জন্য এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে যদি কোনো লোক প্রয়োজন হয়, তা আমরা স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাব। এত লোক আমরা নিতে পারব না।’
আন্দোলনকারী কর্মচারী মাসফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ১৩ মাস আন্দোলন করেছি। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাঁর সময় বলেছেন, তিনি রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁর নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এখন উপাচার্য নিয়োগ দিলে আমাদের একটা ব্যবস্থা হবে। ২ জুন থেকে আমরা দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৩২ জন আন্দোলন করে আসছি। ১২ জুন আমরা রেজিস্ট্রার স্যারের পায়ে ধরেছি। অথচ তাঁরা একটুও সদয় হননি। আজ ভিসি ও রেজিস্ট্রার দপ্তর তালাবদ্ধ করে রেখেছি। আমাদের দাবি না মানলে অবরুদ্ধ থাকতে হবে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে আমাদের একটি টিম সেখানে আছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাঁদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আশা করি, আলোচনা শেষে একটি ভালো ফলাফল আসবে।’