নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও সংকটের মুখে রয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ। দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংকটকে আরেক দফা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা আরও বলেন, গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি, প্রতিষ্ঠিত হয়নি অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি। ফলে বর্তমানে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যেতে সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। সরকারি দলের ব্যাপক প্রভাবে বিরোধীদলগুলো একরকম কোনঠাসা অবস্থায় পড়েছে।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে প্রশ্ন উঠেছে সারা পৃথিবীর কত শতাংশ মানুষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে জীবনযাপন করছে- এমন মন্তব্য করে ন্যাপের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, অনেক দেশে গণতন্ত্রের নামে যা চর্চা হচ্ছে, দৃশ্যত তা গণতন্ত্র মনে হলেও মর্মবস্তুর দিক থেকে তা আদৌ গণতান্ত্রিক কি না সে প্রশ্নই এখন প্রধান হয়ে দেখা দিয়েছে। যখন বিভিন্ন দেশে কর্তৃত্ববাদী নেতাদের শাসনের লক্ষণ সুস্পষ্ট, এমনকি স্বৈরাচারী শাসকরাও নিজেদের গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা হিসেবেই দাবি করেন। তবে, এখনো মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা বহাল আছে। আদর্শ হিসেবে গণতন্ত্রের বিকল্প নেই।
দলটির এ দুই নেতা আরও বলেন, গত দেড় দশকে গণতন্ত্রের বড় ধরনের অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের সংখ্যা বাড়ছে এবং কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোতেও অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে। যাকে কেউ বলছেন, গণতন্ত্রের পতন, কেউ বলছেন বিপরীত স্রোত। ভি-ডেমের গবেষকেরা এই প্রক্রিয়াকে বলছেন স্বৈরাচারীকরণ—অটোক্রেটাইজেশন। তাদের বিশ্লেষণ হচ্ছে, আমরা স্বৈরাচারীকরণের তৃতীয় ঢেউ প্রত্যক্ষ করছি।