আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে চা শিল্পে কয়লা এবং ইউরিয়ার ঘাটতি দেখা দেওয়ায় দেশটির নর্থ ইস্টার্ন টি অ্যাসোসিয়েশন (এনইটিএ) রফতানির জন্য বাংলাদেশের নৌপথ ব্যবহার করতে চায়। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে এনইটিএ অনুরোধও জানিয়েছে।
এনইটিএর ২০তম দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তৃতার সময় বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূত শমশের চৌধুরীর কাছে ওই অনুরোধ জানান সংগঠনটির চেয়ারম্যান সুনীল জাল্লান। এ সময় তিনি বলেন, চা শিল্পের বর্তমান অবস্থা ‘বেশ হতাশাজনক।’
তিনি বলেন, কঠিন সময়ে গুটিয়ে যাওয়া এবং প্রত্যাহার করে নেওয়া সর্বদাই সহজ। কিন্তু চায়ের মন্ত্রটি হচ্ছে—সর্বদা বেঁচে থাকার এবং পুনরুজ্জীবিত হওয়ার। সমস্যাগুলো আমাদের এবং সমাধান খুঁজে আমাদেরই বের করতে হবে।
জাল্লান বলেন, সরকার কেবলমাত্র তখনই সহায়তা করতে পারে, যখন সদস্যরা সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, চলতি বছরে চা শিল্প সবচেয়ে বড় যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে, সেটি হলো কয়লা এবং ইউরিয়ার ঘাটতি।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন, নিম্ন ভূমি এবং শ্রম উৎপাদনশীলতা, চাহিদা-সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা, মাথাপিছু কম চা পান, ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়া এবং প্রায় ৮০০ ইউনিটের মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশ কারখানায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহও চা শিল্পকে সংকটের মুখে ফেলেছে।
শুধুমাত্র আসামের চা কারখানায় বছরে মোট সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন কয়লা এবং চা চাষাবাদের জন্য ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকাজুড়ে এক লাখ ১৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয়। এনইটিএর চেয়ারম্যান জাল্লান বলেছেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনিজ মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং আসামে আরও কয়লা খনি পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আসামের চা রফতানিকারক এই সংগঠন একই সঙ্গে দেশটিতে চাকে জাতীয় পানীয় হিসেবে ঘোষণা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: আসাম ট্রিবিউন।