ক্রীড়া ডেস্ক:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুর দিনেই ঘটল দুর্ঘটনা। কিছু দিন আগেই ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে নাস্তানাবুদ করা দল প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হেরে বসল বাংলাদেশ।
৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা স্কটিশ দলের ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন গ্রেভস। মোস্তাফিজ-সাকিবদের তুলোধোনা করে ২৮ বলে ৪৫ রান করেন। মূলত তার এই পারফরম্যান্সের সুবাদেই ১৪০ রান করে স্কটল্যান্ড।
এর পর বল হাতেও গ্রেভস ছিলেন দুর্দান্ত। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট দুটি তুলে নিয়ে দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
এমন পারফরম্যান্স দেখিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই সবার নজরে পড়েছেন ক্রিস গ্রেভস।
কিন্তু অবাক করা তথ্য হলো— স্কটল্যান্ডের হয়ে খেলার কথাই ছিল না গ্রেভসের। ৩১ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার কিন্তু মাত্র মাসখানেক আগেও স্কটল্যান্ড দলে ছিলেন না।
কারণ তিনি জন্মসূত্রে দক্ষিণ আফ্রিকান। দক্ষিণ আফ্রিকার দলে ঠাঁই না পেয়ে গ্রেভস চেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে। এ জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা বংশোদ্ভূত ইংলিশ তারকা ম্যাট প্রায়ারে তাকে ট্রায়ালের সুযোগ করে দেন। কিন্তু চোটের কারণে চিকিৎসার জন্য স্কটল্যান্ডে আসতে হয় গ্রেভসকে। আর এভাবেই স্কটিশ ক্যারিয়ার শুরু হয় গ্রেভসের।
জানা গেছে, এক সময় ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের হয়ে ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন গ্রেভস। দীর্ঘদিন কঠোর পরিশ্রমে সংসার চালিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। গ্রেভসের এই লড়াইকে সবসময়ই শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর স্কটল্যান্ড অধিনায়ক বলেন, ‘দারুণ একটা দিন গেল গ্রেভসের। তবে ওর পারফরম্যান্সে আমি কিন্তু অবাক হইনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রেভসের জন্য গর্বিত। সে জীবনে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গেছে। কিছু দিন আগে পর্যন্তও তো ও অ্যামাজনের হয়ে ডেলিভারি বয়ের কাজ করত। আর এখন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছে।’
বিএসডি / আইপি