নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশে ইমিগ্রেশন বিষয়ক পরামর্শ সেবা প্রদানে ভিএফএস গ্লোবালের এডুকেশন, ট্রেড অ্যান্ড মাইগ্রেশন (ভিএফএস ইটিএম) সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রায়াদ গ্রুপ। এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের সেবা গ্রহীতাদের ঢাকার ভিএফএস গ্লোবাল সেন্টারে খুব সহজে ইমিগ্রেশন বিষয়ক সার্বিক পরামর্শ সেবা গ্রহণ সহজলভ্য করবে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভিএফএস গ্লোবাল জানায়, ভিএফএস ইটিএম এবং রায়াদ গ্রুপ সম্মিলিতভাবে উচ্চমানের অভিবাসন পরার্মশ সেবা প্রদানের একটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা করবে। এই কেন্দ্রটি সর্বশেষ অগ্রগতিসম্পন্ন জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এবং তাদের সেরা আইনি দক্ষতার সঙ্গে সংযুক্ত করবে, যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জটিল অভিবাসন প্রক্রিয়াগুলোকে সহজে বুঝতে পারবেন এবং ক্রমবর্ধমান অভিবাসন নিয়মগুলো মেনে চলতে সক্ষম হবেন।
তারা জানায়, বিশ্বজুড়ে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত নিয়মকানুন আরও জটিল হচ্ছে এবং আইনি বাধ্যবাধকতা বাড়ছে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের সেবা গ্রহীতারা অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন, ট্যাক্স এবং আইনি বিশেষজ্ঞদের নেটওয়ার্কের সহায়তা পাবেন। এই বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ইমিগ্রেশন চাহিদা পূরণের জন্য উপযুক্ত সমাধান দেবেন।
ভিএফএস ইটিএম বিভিন্ন ধরনের মাইগ্রেশন সেবা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে দক্ষতা যাচাই (স্কিল অ্যাসেসমেন্ট), ডায়নামিক ডিজিটাল ভেরিফিকেশন (ডিডিভি), এবং কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ-নির্ভর মাইগ্রেশনের সহজ পদ্ধতি। এই সমাধানগুলো জাতীয় মান বজায় রেখে জনপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক প্রক্রিয়াগুলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
ভিএফএস গ্লোবালের দক্ষিণ এশিয়ার চিফ অপারেটিং অফিসার, ইয়ামি তালওয়ার বলেন, রায়াদ গ্রুপের সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্ব আমাদের গ্রাহকদের ব্যতিক্রমী সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন। ভিএফএস গ্লোবালের বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম এবং ভিসা সেবায় স্বীকৃত নেতৃত্বকে রায়াদ গ্রুপের ইমিগ্রেশন ও আইনি পরামর্শে গভীর দক্ষতার সঙ্গে একত্রিত করার মাধ্যমে, ক্লায়েন্টদের মাইগ্রেশন কৌশল এবং আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে ব্যাপক ও হালনাগাদ নির্দেশনা দিতে সক্ষম হব।
রায়াদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়াদ কামাল আইয়ুব বলেন, আমরা এই অংশীদারিত্বের কৌশলগত গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিই, বিশেষ করে মার্কিন গ্রিন কার্ডধারীদের জন্য পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনা করে। সম্প্রতি ঘোষিত ‘গোল্ড কার্ড’ উদ্যোগটি অতি উচ্চ-সম্পদশালী ব্যক্তিদের (ultra-high-net-worth individuals) মধ্যে উল্লেখযোগ্য আগ্রহ তৈরি করেছে। মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ অনুসারে, এই প্রোগ্রামটি যোগ্য অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশ্বব্যাপী আয়ের ওপর আয়কর থেকে অব্যাহতি দিতে পারে, যা এর আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তুলছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য দেশের গোল্ডেন ভিসার জন্য বাংলাদেশিদের পরিবর্তিত ইমিগ্রেশন প্যাটার্ন দক্ষিণ এশিয়াকে বিশ্বের একটি নেতৃস্থানীয় ইমিগ্রেশন বাজারে পরিণত করেছে।
১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রায়াদ গ্রুপ ইমিগ্রেশন এবং আইনি পরামর্শে বিশ্বজুড়ে একটি নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের ৪৫টি দেশে সহযোগী আইনজীবীদের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই গ্রুপটি ২৫টি নাগরিকত্ব বিনিয়োগ প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত এবং স্থায়ী বসবাসের সুযোগ ও গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রাম, বিশেষ করে ইউএই গোল্ডেন ভিসা বাই নমিনেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের অভিবাসনের সুযোগ প্রদান করে। রায়াদ গ্রুপের ইউএস ইবি-৫ ভিসা প্রোগ্রাম এবং গ্রিন কার্ড সংক্রান্ত সংবিধিবদ্ধ নিয়মাবলী পালনে এবং ৪৫টি দেশে ইমিগ্রেশন সেবা প্রদানে শক্তিশালী রেকর্ড রয়েছে, যা তাদের ইমিগ্রেশনের জটিল বিষয়গুলো সহজে সমাধানের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ভিএফএস গ্লোবাল একটি বিশ্বস্ত প্রযুক্তি-ভিত্তিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যা সরকার ও নাগরিকদের জন্য নিরাপদ চলাচলের সক্ষমতা তৈরি করে। ৬৯টি ক্লায়েন্ট সরকারের নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে, ভিএফএস গ্লোবাল ১৫৮টি দেশে ৩ হাজার ৮০০-এরও বেশি আবেদন কেন্দ্র পরিচালনা করছে এবং ২০০১ সাল থেকে দক্ষতার সঙ্গে ৪৬২ মিলিয়নেরও বেশি আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করেছে।