নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দারিদ্র বলে, মঙ্গা বলে বাংলাদেশে কিছু থাকবে না। দেশের প্রতিটি মানুষ সুন্দর ভাবে বাঁচবে এবং উন্নত জীবন পাবে সেটাই আমার লক্ষ্য।’
আজ সোমবার গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমার জন্য কোনো কিছু করা হোক সেটা আমার কাছে কাম্য না। কারণ আমি জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি।’
‘আমি আমার বাবা, মা, ভাই, বোন সব হারিয়েছি। কিন্তু আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যত কষ্ট, যত আঘাত, যত বাধাই আসুক যে স্বপ্ন নিয়ে আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছেন তার সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা দারিদ্র মুক্তি। দারিদ্র বলে, মঙ্গা বলে বাংলাদেশে কিছু থাকবে না। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে এবং উন্নত জীবন পাবে সেটাই আমার লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য স্থির রেখেই আমার পথ চলা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ একদিন উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’
এ বছর ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স’ পেয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মোহাম্মাদ খুরশেদ আলম।
তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে ২ জন কূটনীতিক আজকের পদক বিজয়ী তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে অসাধারণ কূটনৈতিক নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন।’
সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাক্তন মান্যবর রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে আমাদের ২ দেশ এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবির করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।’
রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মাদ খুরশেদ আলম সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে যে মেরিটাইম বাউন্ডারি নিয়ে আইন করে যান এবং মিয়ানমার সঙ্গে আলোচনা করে এ সীমার ব্যাপারে কিছু সিদ্ধান্ত দিয়ে যান। আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর যে সরকারগুলো এসেছিল, যেমন জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ বা খালেদা জিয়া, তারা এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ‘৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখনই আমরা এই সমুদ্রসীমা কীভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি তার ব্যবস্থা নেই। আমারা ক্লজ সই করি এবং দ্বিতীয়বার যখন সরকারে আসি তখন থেকেই আমাদের প্রচেষ্টা যে এই সমস্যাটা আমাদের সমাধান করতে হবে।’
‘এই উদ্যোগে আমাদের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মাদ খুরশেদ আলম যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। এর জন্য অনেক কাজ করতে হয়েছে। তিনি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন।’
বিএসডি/ এলএল