রোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলারসহ অন্যান্য যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল। তবে পণ্য পরিবহন ও জরুরি সেবার জন্য চালু রয়েছে ১৫টি ফেরি। লঞ্চসহ যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভিড় বেড়ে চলেছে ফেরিতে। ফেরিগুলোয় সাধারণ যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের বিধিনিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সকাল থেকেই উভয় ঘাটে আসা যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে ফেরিতে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাবাজার ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ভজন সাহা বলেন, ‘লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। আপাতত আমরা যানবাহন ফেরিতে তুলতে পারলেও যাত্রীর চাপ বেশি থাকলে সেটা সম্ভব হবে না। ১৫টি ফেরি উভয় ঘাট থেকে চলাচল করছে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় যাত্রীরা সব এখন ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। ফেরি ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী উঠে ভরে থাকে। ঘাটে আমাদের লোকজন কম। তাই সাধারণ যাত্রীদের আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা যাত্রীদের ঘাটে আসতে দিলে আমরাই–বা কী করতে পারি!’
জানতে চাইলে বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) জামালউদ্দিন বলেন, সকাল থেকেই যানবাহনের তুলনায় যাত্রীর চাপ বেশি। বেশির ভাগ যাত্রী হেঁটে ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। তাই তাদের আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। আজ ভোর থেকে লকডাউন কার্যকর হওয়ায় রাতেই ঘাটে আটকা পড়া ছোট গাড়ি পার করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও ছোট গাড়ি আসছে।
তিনি বলেন, ‘কন্ট্রোল রুমকে বলেছি, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যেন তারা এই নৌপথে কোনো যানবাহন না ঢুকতে দেয়। বর্তমানে বাংলাবাজার ঘাটের টার্মিনালে প্রায় ২০০ যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে। শিমুলিয়া ঘাটেও এমন চাপ। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। ছোট গাড়ির চাপ আপাতত তেমন নেই।’
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে অন্যতম মাধ্যম বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথ। এই নৌপথে গড়ে দৈনিক ৪০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে।