নিজস্ব প্রতিবেদক
সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ এবং বাংলামোটর-মগবাজার সড়ককে ‘আরিফ-সৌভিক সড়ক’ নামকরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
গতকাল রাতে নিউ ইস্কাটনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। দুর্ঘটনা বলা হলেও আমরা মনে করি সড়ক দুর্ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয় বরং কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। রাস্তার দুরবস্থা, যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকা, যানবাহনের ফিটনেস ও অদক্ষ চালকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। আর এসব দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের, তারা এসব ব্যাপারে উদাসীন যার ফলেই প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। সেজন্যই আমরা সড়ক দুর্ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা না বলে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলি। সড়কে এই কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের শিকার যেন আর কাউকে হতে না হয় তার জন্য সড়ক নিরাপদ করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান বলেন, আমাদের দুই অগ্রজ যারা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ছাত্রজীবন থেকেই সক্রিয় ছিলেন গত বছরের ৭ নভেম্বর ইস্কাটনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তারা নিহত হন। বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। কিন্তু এটিকে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা সমাধানে কোনো সমন্বিত উদ্যোগ নিতে আমরা দেখিনি।
তিনি বলেন, আমাদের আবার সরব হতে হবে সড়ককে নিরাপদ করতে, সড়কের নিরাপত্তাকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেজন্যই আমরা এই (বাংলামটর-মগবাজার) সড়কের নাম ‘আরিফ-সৌভিক সড়ক’ করার দাবি জানাই। নিরাপদ সড়ক নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে আমরা সামনের দিনে আরও কর্মসূচি নিয়ে হাজির হবো।
আয়োজক সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ দেবের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন— গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, অর্থ সম্পাদক ফারহানা মুনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল-আমিন রহমান প্রমুখ।