বেনাপোল প্রতিনিধি:
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে দুই দেশের বন্দর, কাস্টমস ও ব্যবসায়ীরা বৈঠক করেছেন। এ সময় উভয় দেশের ১৩ জন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় সিএন্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে দু’দেশের সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রতিনিধিরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যান।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার-১ আব্দুর রশিদ মিয়া, উপ-কমিশনার-৩ অনুপম চাকমা,বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল, সহকারী পরিচালক সঞ্জয় কুমার বাড়ই, সিএন্ডএফ সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, ভারত-বাংলাদেশে চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান, স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান প্রমুখ।
ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার গ্রিধর সরঙ্গী, বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সেট, সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী প্রমুখ।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, স্থলবন্দর দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম আরও গতিশীল করা যায়, আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে বন্দরের অন্যান্য যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে তা কিভাবে নিরসন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও পেট্রাপোল বন্দরের কালীতলা পার্কিংয়ের নানাবিধ সমস্যা, দু’দেশের বিজিবি-বিএসএফ’ র পন্যবাহি ট্রাক চেকিংয়ে দীর্ঘ সময় পরিহার করে বিকল্প বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় কুমার বাড়ই জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের জায়গা সংকট রয়েছে। সে কারনে বনগাঁর ব্যক্তি মালিকানার কালীতলা পার্কিংয়ে ভারতের রপ্তানিমূখি পন্যবাহি ট্রাক রাখা হয়। সেখানে ইচ্ছা করে একটি চক্র ৩০-৪০ দিন গাড়িগুলো আটকিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে, যেটা বাংলাদেশের আমদানি কারকদের গুনতে হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা রয়েছে। পন্যবাহি ট্রাকগুলো দিনের দিন ঢুকিয়ে দিলে আমদানি কারকদের অতিরিক্ত এ অর্থ দেওয়া লাগে না। প্রতিদিন ৭০০ করে গাড়ি দিলে ও বেনাপোল বন্দরের জায়গার সমস্যা নেই।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে দু’দেশের বন্দরের বানিজ্যে গতিশীলতা আনতে দু’দেশের বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দেশের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে যেকোন সমস্যা নিয়ে আমরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছি।