রকমারি ডেস্ক,
ছোট-বড় মিলিয়ে পুরো গ্রামে কয়েক হাজার বানর। বাড়িঘরে কিংবা চলার পথে যেখানেই যাওয়া যাক না কেন, চারপাশেই বানরের উপদ্রব। গ্রামের বাসিন্দারা এক মুহূর্ত শান্তিতে থাকতে পারে না। সব সময় বানরের ভয়ে থাকতে হয়। আর সেজন্য ওই গ্রামে কোনও মেয়ের বিয়েরও আয়োজন করা যায় না।
শুনতে একটু অবাক করার মতো লাগলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিহারের ভোজপুর জেলার রতনপুর গ্রামের বাস্তব চিত্রটা এরকমই।
বানরদের দাপটে সেখানকার বাসিন্দাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় বাড়িঘরে ঢুকে বানরের দল বিভিন্ন জিনিস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কাউকে একলা পেলে মারধর করছে। আর যদি কোনো বাড়িতে বিয়ে কিংবা কোনো বিশেষ উপলক্ষে কোনো শোভাযাত্রা হয় তবে তো দলবল নিয়ে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়েন বানরেরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগেও একটি বিয়েবাড়ির শোভাযাত্রায় বানরদের সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার পর থেকেই গ্রামটিতে বিয়ে ও অন্যান্যও যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন কিংবা শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এখন ঘরে যুবতী মেয়ে রেখে সেখানকার বাবা-মায়ের চিন্তা বাড়ছে। কারণ বানরের অত্যাচারে বিয়ের আয়োজনটুকুও করা যায় না। পাত্রপক্ষ কনে দেখতে এলে পথেই তাদের নাজেহাল করে ছাড়ে বানরেরা। তাই পাটনা শহর থেকে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভোজপুরের রতনপুর গ্রামের যুবতী মেয়েরা এখন বিয়ে করতেই হিমশিম খাচ্ছেন।
জানা গেছে, রতনপুরের মতো আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামেও বানর বাহিনী একইরকমভাবে মানুষদের হয়রানি ও জ্বালাতন করছে।
বিভিন্ন সময় এ নিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ।
বিএসডি/এএ