পর্যটন ডেস্ক,
সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর ১৯ আগস্ট থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে বান্দরবানের সব পর্যটন কেন্দ্র। অথচ তিন দিনেও পর্যটকের দেখা নেই বান্দরবানে। ফলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িদের হতাশার অন্ত নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পর্যটন কেন্দ্র খোলার সংবাদে সারাদেশের মতো বান্দরবানে পর্যটক আসতে শুরু করেছে, তবে ব্যবসায়ীরা যে সংখ্যক পর্যটক আশা করেছিল সে উপস্থিতি পর্যটনকেন্দ্র ও হোটেল মোটেল কোথাও নেই।
এদিকে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর পর্যটনে দু-চারজন যারাই আসছেন পর্যটন স্পটগুলোকে নবরুপে দেখে আনন্দে বিমোহিত।
ঢাকা থেকে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটক মো. আমিন বলেন, পর্যটন কেন্দ্র খোলার সংবাদ পেয়ে বান্দরবান ছুটে এসেছি, কিন্তু করোনা ভীতির কারণে পর্যটনকেন্দ্রে এখনো পর্যটকদের আনাগোনা তেমন দেখা যাচ্ছেনা।
বান্দরবান জেলায় মালিক সমিতির নিবন্ধিত হোটেল মোটেল রয়েছে ৬০টি। পর্যটকবাহী যানবাহন রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক। আর এই পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ। তারা পর্যটকের আগমনের অপেক্ষায় ব্যাকুল রয়েছেন।
পর্যটনকেন্দ্র মেঘলায় ভ্রমণে আসা পর্যটক ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, বান্দরবান ভ্রমণ করে বেশ ভালো লাগছে, মানুষের কোলাহল নেই।
এদিকে বান্দরবানের আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, পর্যটনকেন্দ্র ও হোটেল মোটেল খোলা হলেও পর্যটন ব্যবসায়ীরা যেভাবে প্রচুর পর্যটক আসার কথা চিন্তা করেছে সে পরিমান পর্যটক এখনো বান্দরবানে প্রবেশ করেনি।
জেলায় মেঘলা, নীলাচল, নীলগীরি, শৈল প্রপাত, প্রান্তিক লেক, চিম্বুক, স্বর্ণমন্দির, শুভ্রনীলা, নীলদিগন্ত, মিরিঞ্জা, বগালেক, কেউক্রাডং, রিজুক, নাফাখুম, তিনাপ সাইতার, বড় মদক, ছোট মদকসহ অর্ধ শতাধিক পর্যটন স্পট রয়েছে।
থানচির নাফাখুম, রেমাক্রি, বড় মদক, ছোট মদকসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যেতে ২শ ইঞ্জিন চালিত বোট ব্যবহার হলেও পর্যটক কম আসার কারণে অনেক বোটচালকই এখনো বেকার সময় কাটাচ্ছেন।
থানচি ও রুমা উপজেলায় পর্যটকদের জন্য আড়াইশ নিবন্ধিত গাইড থাকলেও তারা বেকার সময় পার করছেন।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি যাতে ব্যাহত না হয়, এ ব্যাপারে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের সক্রিয় রাখা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোন এর ইনচার্জ মো.আমিনুল হক বলেন, পর্যটনকেন্দ্র ও হোটেল মোটেলে যারা অবস্থান করবেন তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
বিএসডি/আইপি