নিজস্ব প্রতিবেদক:
রুপালি পর্দার চাকচিক্য আর গ্ল্যামারেই এখন দিন কাটছে টালিউড অভিনেত্রী বিনীতার। কিন্তু এই পর্যায়ে আসতে কম কষ্ট করতে হয়নি তাকে। সব নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের এভাবেই জীবনযুদ্ধে অংশ নিতে হয়।
আর সেই কষ্টের দিনগুলোর কথা ভোলেননি বিনীতা। অস্বীকার তো করেনই না, বরং গর্ব করেই বলেন, রাস্তায় টংয়ের দোকান চালিয়ে তাকে বড় করেছেন বাবা।
করোনায় বেশ কিছু দিন ধরে উপার্জনহীন ছিলেন বিনীতার বাবা যাদবপুরের সুখেন গুহ। তার স্বপ্ন ছিল— রাস্তার ধারে নতুন একটি ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকান দেওয়ার।
আর কেউ হলে বিষয়টি লুকিয়ে রাখতেন। কিন্তু বিনীতা করলেন উল্টোটা। বাবার স্বপ্নকে প্রাধান্য দিলেন। টালিউডের সুপরিচিত অভিনেত্রী হয়েও বাবাকে খুলে দিলেন একটি চায়ের টং দোকান। স্বপ্নপূরণ করলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধের।
এ ক্ষেত্রে সামাজিক কুণ্ঠা বা গ্লানিবোধের ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি অভিনেত্রী বিনীতার চোখেমুখে।
গর্ব করেই কলকাতার গণমাধ্যমকে তিনি জানালেন, টালিউডের সহকর্মী ও বন্ধুদের কাছে নিজেকে চা বিক্রেতা বাবার মেয়ে হিসাবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
বিনীতা বলেন, ‘আমি সময় পেলেই বাবার দোকানে কচুরি ভাজি। বিক্রিও করি মাঝেমধ্যে। বাড়িতে সময় পেলে রান্না করতাম, তেমনই দোকানে করি। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য যা যা করে, আমি আর বাবাও তাই করছি। এতে সংকোচের কি আছে? আমরা ভাড়া বাড়িতে থাকি। মা-বাবার মাথা গোঁজার জন্য একদিন বাড়ি করতে হবে আমাকে, সেটিই এখন লক্ষ্য।’
বিজ্ঞাপন ও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বিনীতা। সম্প্রতি দুর্গাপূজার এক মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। ভিডিওটি ইতোমধ্যে সাড়ে ছয় লাখের কাছাকাছি ভিউ হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিএসডি / আইপি