নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহের হলিধানি গ্রামের রহিম আলীর ছেলে প্রবাসী সবুজের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ার এক তরুণীর মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়।
সম্পতি সবুজ দেশে ফিরলে রোববার (২৪ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে তুলে নেওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানের দিন দুপুরে বরপক্ষের লোকজন বারবার মাংস চাওয়ায় বিরক্ত হন মেয়েপক্ষ। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।
এতে বরপক্ষের তিনজনকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠান কনেপক্ষের লোকজন। এ ঘটনার পর রাতেই দু’পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। পর দিন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সবুজের বাড়িতে চলে যায়। এ নিয়ে এলাকার চলছে সমালোচনার ঝড়।
আহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের আলমগীর আলীর ছেলে শাহা জামাল (২৮), ফারুক হোসেন (৩৫) ও আব্দুর রহিমের ছেলে আসমান আলী (৩৫)। শাহা জামালের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান বলেন, বিয়েবাড়িতে বারবার মাংস চাওয়ায় কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের তিনজনকে পিটিয়েছেন। ওইদিন রাতেই দুপক্ষের উপস্থিতিতে বিয়েবিচ্ছেদ ঘটে। পরদিন সোমবার কোনো একসময় নববধূ সবুজের বাড়িতে চলে যায়।
বিএসডি /আইপি