ক্রীড়া ডেস্ক,
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ – পুরো গল্পটাই ছিল আকাশী হলুদ শিবিরের। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের একমাত্র ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি লিগে এটি সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় জয়ও।
আট গোলের দু’টি কেবল দেশি মিডফিল্ডার জুয়েল রানার। বাকি ছয়টিই তিন বিদেশির। সর্বোচ্চ গোলদাতার ট্রফির লড়াইয়ে কয়েক জন বিদেশি এগিয়ে। এর মধ্যে ১৯ গোল করে শীর্ষে রয়েছেন বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন দ্য সিলভা রবিনহো এবং শেখ জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ওমর জোবে।
১৮ গোল করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড জন ওকোলি। ১৭ গোল করে তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন ঢাকা আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট। লিগে ওমর জোবেরের মতো দু’টি হ্যাটট্রিকের রেকর্ড এখন বেলফোর্টেরও দখলেও।
গতি, ক্ষিপ্রতা, গোল করার ক্ষুধা- সবই ছিল হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট কারভেন্সের। তাই একের পর এক গোল করেছেন। চলতি প্রিমিয়ার লিগে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকও করলেন। আর দলকে জেতালেন চলমান লিগের সর্বোচ্চ ব্যবধানে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এই হাইতিয়ানের চার গোলের সুবাদে উত্তর বারিধারাকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।
ম্যাচের শুরু থেকেই বারিধারার বক্সে গোলের বন্যা বইয়ে দিতে থাকে আকাশী হলুদ জার্সিধারীরা। ম্যাচের ৪ মিনিটেই পেনাল্টি আদায় করে নেয় আবাহনী। বক্সের মধ্যে জুয়েল রানাকে ফাউল করে বসেন হাফিজুর রহমান তপু। পেনাল্টি থেকে আবাহনীকে এগিয়ে নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল অগোস্তো। ৩০ মিনিটে ফের পেনাল্টি পায় আবাহনী। সফল স্পট কিক নিয়ে আবাহনীকে দুই গোলের লিড এনে দেন বেলফোর্ট।
ম্যাচের ৪১ মিনিটে গোল করার তালিকায় নাম লেখান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবা। রাফায়েল অগোস্তোর কর্ণার থেকে আসা বল মাথা লাগিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ৬৩ মিনিটে একক প্রচেস্টায় বল নিয়ে বারিধারার বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়েন সানডে সিজোবা। কোনাকুনি থেকে তার নেওয়া শট বারিধারার নিয়মিত গোলকিপার মিথুন মারমার বদলী মামুন আলী ঝাপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন।
সানডের সুযোগ নষ্ট করার মিনিট খানেক বাদেই আবাহনীকে চতুর্থ গোল এনে দেন জুয়েল রানা। রাফায়েল অগোস্তোর হালকা ক্রস বেলফোর্ট মাথা দিয়ে বল বাড়ান জুয়েলের দিকে। সেখানে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন জুয়েল।
স্টেডিয়ামের কর্দমাক্ত মাঠে আবাহনী শো চলতেই থাকে। ৬৬ মিনিটে জোড়া গোল পূরণ করেন জুয়েল রানা। মাঝমাঠ থেকে দুর্দান্ত দৌড়ে একক প্রচেষ্টায় বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। মিনিট দুয়েক পর বারিধারাকে লজ্জায় ডুবিয়ে আবাহনীকে ছয় গোলের লিড এনে দেন বেলফোর্ট কারভেন্স।
৭৫ মিনিটে নিজের হ্যাট্রিক পূরণ করেন বেলফোর্ট। ম্যাচের অন্তিম সময়ে নিজের চতুর্থ এবং দলের অষ্টম গোলের দেখা পান এই হাইতিয়ান। সেই সঙ্গে এবারের লিগে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করে আবাহনী।
এই জয়ে আবাহনী ২৩ ম্যাচ শেষে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে শেখ জামাল ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। ঢাকা আবাহনীর শেষ ম্যাচ আগামী মাসে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে।
বিএসডি/এএ