স্পোর্টস ডেস্ক
প্রায় ৫৩৫ কোটি টাকা খরচ করে বার্সেলোনা ফেররান তরেসকে কিনেছিল ম্যানচেস্টার সিটি থেকে। এরপর গতকাল বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই তাকে ন্যু ক্যাম্পের দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করিয়ে দিয়েছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে এরপরই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড শুনলেন দুঃসংবাদ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন তিনি।
শুধু তিনিই নন, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরেক মিডফিল্ডার পেদ্রি গনজালেসও। ফলে চোট, করোনা জর্জর বার্সেলোনা বিপদে পড়ল আরও।
গতকাল বিকেলে বার্সেলোনা নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ফেররান তরেসকে বার্সার জার্সি গায়ে পরিচয় করিয়ে দেয়। তবে এর ঘণ্টা কয়েক পরই দুঃসংবাদ দেয় ক্লাবটি। এক বিবৃতিতে জানায় খেলোয়াড়টির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর।
সেই বিবৃতিতে জানানো হয় পেদ্রির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথাও। বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন বার্সেলোনা মূল দলের খেলোয়াড় পেদ্রি ও ফেররান তরেস। তবে তারা শারীরিকভাবে কোনো সমস্যার মুখে পড়েননি, নিজ বাড়িতে এখন আইসোলেশনে আছেন তারা। বিষয়টি ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে বার্সা।’
আগে থেকেই করোনায় জেরবার ছিল বার্সেলোনা। মূল দলের ৮ খেলোয়াড় ছিলেন করোনায় আক্রান্ত। সঙ্গে চোট আর নিষেধাজ্ঞার কারণে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছিল ১৪-তে। এমন ভঙ্গুর দল নিয়েও মায়োর্কার মাঠে বার্সা জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে। এরপর কোচ জাভি একে আখ্যা দিয়েছিলেন অলৌকিক কিছু হিসেবে।
এবার ফেররান ও পেদ্রি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বার্সায় করোনাক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০-এ। সার্জিনিও ডেস্ট, ফেলিপে কৌটিনিও, এজ আবদে, জর্দি আলবা, অ্যালেক্স বালদে, উসমান দেম্বেলে, গাভি ও দানি আলভেস আক্রান্ত আছেন এখনো।
করোনা জর্জর দল নিয়ে মায়োর্কার বিপক্ষে ‘অলৌকিক’ জয়ের পর একই কাজ আবারও করতে হবে বার্সাকে। কোপা দেল রের শেষ ৩২-এ আগামীকাল বুধবার লিনারেস দেপোর্তিভোর বিপক্ষে যে খেলতে হবে বার্সেলোনাকে।
করোনার নতুন ঢেউয়ে স্পেন রীতিমতো কঠিন সময়ই পার করছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পৌনে চার লাখের কাছাকাছি মানুষ। এর ছাপ পড়েছে ফুটবলেও। গেল সপ্তাহেই যেমন, খেলোয়াড়, কোচ মিলিয়ে ১০০ এর কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।
বিএসডি/এসএ