পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা সদর উপজেলা হেমায়েতপুরের ভবানীপুর গ্রামের মল্লিকপাড়া ও পশ্চিম কুটিপাড়া গ্রামের একাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের করালগ্রাসে বিলীন হতে চলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান পশ্চিম কুটিপাড়া ও মল্লিকপাড়া বাংগাবাড়িয়ার ও শহরের কিছু অসাধু মাটি ও বালু ব্যবসায়ী এই দুই গ্রামের কিছু মানুষের কাছ থেকে মাটি ক্রয় করে ভেকু ও বাংলা ড্রেজার দিয়ে ফর্সলি ও বসতভিটা কাছ থেকে মাটি উত্তোলন করতে থাকে ফলে হলে ওই জমিতে বিশাল আকারে পুকুর ও নদীর মত হয়ে যায়। আশেপাশের জমি ও বাড়িঘর ধীরে ধীরে গভীর গর্ত ও নদীর মধ্যে বিলীন হতে চলেছে।
অবৈধ বালু ও মাটি ব্যবসা বন্ধের জন্য গতমাসের ২৩ তারিখে ভবানীপুর সাধারণ জনগণের পক্ষে পাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করা হয়েছে। মল্লিকপাড়ার আব্দুর রহিম এর পরিবার থেকে জানান অবৈধ বালু কাটায় বাধা দিলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। আব্দুর রহিম বলেন, পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। কেন আসে এবং কেনই বা চুপ হয়ে চলে যায় ? তা আমাদের জানা নাই। বালু খেকোরা বিশাল গর্ত করেছে ভেকু দিয়ে। আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকিতে আমার বাবা স্ট্রোক করে মারা যায়। এ কথা বলতে গেলেও আমাদের বিপদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পাবনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানাই মাটিকাটা যেন বন্ধ হয় এবং আইনি ব্যবস্থা যেন নেন এটাই আমাদের মিনতি।
অপরদিকে পশ্চিম কুটিপাড়ায় সরেজমিনে দেখা যায়, ড্রেজার দিয়ে মাটি তোলার ফলে সৃষ্টি হয়েছে নদী আকৃতির পুকুর, পুকুর পাড়ে রয়েছে বসতভিটা । এই বর্ষার পানি আসলেই বাড়ীঘরগুলো বিলীন হবে সেইসাথে ফসলি জমি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান একটি বিশাল শক্তিশালী বালু ও মাটি ব্যবসায়ী চক্র রয়েছে । অবৈধ মাটি ও বালু ব্যবসায়ীরা এতটাই শক্তিশালী যে আমরা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পারব না কথা বললে বালু ব্যবসা টা জানতে পারলে আমাদেরকে মেরেও ফেলতে পারে। প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই দাবি অবৈধ মাটিকটা বন্ধ হোক।
আমরা যেন নিরাপদে বসবাস করতে পারি। বাড়িঘর যেন ভেঙে না যায় এবং আমাদের আবাদি ফসলি জমি যেন এই বালু ও মাটি ব্যবসায়ীদের পেটে না যায়।
তার জন্য আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
বিএসডি/ এলএল