নিজস্ব প্রতিবেদক,
কেউ সুই সুতা দিয়ে জাল সেলাই করছেন। কেউ করছেন নৌকা মেরামত। আবার কেউ ধরছেন মাছ। ছোট-বড় সবাই যেন মহা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন মাছ ধরা আর বিক্রি নিয়ে। বর্ষায় পানি বাড়লে কারো কারো কষ্ট হলেও বেশ খুশিতে রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলেরা।
জেলার আখাউড়া উপজেলার বনগজ, ভবানিপুর ও বৈষ্ণবপুর গ্রামে নদীনালা, জলাশয়ে কিংবা পুকুর পাড়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে পানি না থাকায় মাছ ধরতে না পারায় এক ধরনের দুশ্চিন্তায় পড়েন জেলেরা। পানি বাড়ায় অবশেষে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।
জানা গেছে, এ উপজেলার বনগজ, ভবানিপুর, বৈষ্ণবপুর, টেংরাপাড়া, দুর্গাপুর, আমোদাবাদ, ধরখার এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক জেলে রয়েছে। জাল দিয়ে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। কিন্তু এ বছর সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েন এসব জেলে।
উপজেলার বনগজ গ্রামে দেখা মেলে নারায়ণ বর্মণের সঙ্গে। তিনি দুপুরে মনের আনন্দে গুনগুনিয়ে গান গাইছেন আর ছেঁড়া জাল সুই সুতা দিয়ে মেরামত করছেন।
তিনি বলেন, আমার চার ছেলে, তিন মেয়েসহ ৯ জনের সংসার। ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা এ পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। আমিও প্রায় ৪৫ বছর ধরে মাছ ধরছি। এ বছর সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে মাছ ধরা যায়নি। তবে এখন পানি পরিপূর্ণ হওয়ায় আর কোনো সমস্যা নেই।
সুজন চন্দ্র দাস বলেন, বর্ষা মৌসুমে প্রায় চার-পাঁচ মাস মাছ ধারা যায়। এতে ভালোভাবেই সংসার চলে। কিন্তু মাছ ধরা বন্ধ থাকলে শ্রমিকের কাজ করি।
উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে খাল-বিল, জলাশয়, নদীতে পানি বাড়ায় জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে উঠছে নতুন পানির মাছ।
তিনি আরো বলেন, এ উপজেলায় ১৪৪১ জন নিবন্ধিত মৎস্যজীবী রয়েছেন। তাদের মাঝে সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পোনা মাছ ধরতে জেলেদের না করা হয়েছে।
বিএসডি/আইপি