পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে জেলা কার্যালয়স্থল। এতে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্র ঘোষিত সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে পটুয়াখালী পৌঁছান কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুন্নবী সোহেল।
সকালে শহরের বনানী এলাকার জেলা কার্যালয়ে সমবেত হতে থাকে নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেল মহড়া সহকারে এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় বিএনপি ছাত্রলীগের কর্মীরা মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় দলীয় কার্যালয়েও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।
ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাফিউল বাসার উজ্জ্বল তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মাহবুব গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে সাংবাদিকদের তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়।
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুন্নবী সোহেলের অবস্থান এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাফিউল বাসার উজ্জ্বল তালুকদার বর্তমান সময়কে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সভার আয়োজন করি। সেখানে সকাল ১০টায় সভা শুরু হওয়ার আগেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা এসে হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা অতর্কীতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তবে বিএনপির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বর্তমান সময়কে বলেন, কোনো হামলা করা হয়নি। নিজেদের দ্বন্দ্বে তাদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বিএসডি/ এফএস