বর্তমান সময় ডেস্কঃ
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগে হরতালের সময় সড়কে একটি রিকশাও চলতো না, এখন বিদেশিরাও চলাচল করতে সাহস পাচ্ছে। হরতালের কোনো বাস্তবায়ন নেই। কারণ বিএনপির সঙ্গে জনগণ নেই, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জানে, তাদের নেতা দেশের বাইরে, অপরাধের কারণে দলটির শীর্ষ নেতারা সাজাপ্রাপ্ত।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ কী ৩০০ আসনে একাই লড়বে, নাকি জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নেবে? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। কাজেই এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাইছি, সংসদে একটি বিশ্বাসযোগ্য বিরোধী দল থাকবে। তারপরও আমরা কিছুটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমাদের অনেক সম্ভাবনাময়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে যারা পাস করে আসবেন, তারাও সংসদে ভূমিকা রাখবেন। বাংলাদেশে সবার অংশগ্রহণে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
নিজেরা নিজেরা কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়? প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চাই সংসদে যোগ্য, নিবেদিত, অঙ্গীকারবদ্ধ কাউকে যদি জনগণ ভোট দেন, আমরা নৌকার প্রার্থী দিয়েছি, ভোটার ভোট দিল না, এটা তো ভোটারের বিষয়।
বিএনপি যেখানে নির্বাচনে আসছে না, সেখানে আপনারা কী ভোটারদের অংশগ্রহণ পাবেন, প্রশ্নে তিনি বলেন, কেন পাবে না? দুইজন যদি প্রার্থী হয়? আমাদের কাছে তথ্য আছে, আমাদের অনেক স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিযোগিতায় আছে। তারা অনেক সম্ভাবনাময়ী। কাজেই আমাদের নৌকার প্রার্থীরাও নিজেদের প্রমাণ করে সংসদে আসুক যে তারা মানুষের জন্য ভালো কাজ করেছে, নিবেদিত ছিল।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ কী, জানতে চাইলে দলটির প্রেসিডিয়াম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো বেশিরভাগ মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এটি অস্বীকার করলে চলবে না যে, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, তারা এলে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু তারা না এলে আমরা কী করব, আমরা তো চেষ্টা করেছি, তাদের আনার জন্য।
জাপানে ছোট্ট বিরোধী দল, কিন্তু বিরোধীদল তো আছে। বিএনপি নির্বাচনে না এলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তাদের তো জোর করে নির্বাচনে আনতে পারি না, বলেন তিনি।
এখন যারা প্রার্থী হচ্ছেন, তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের প্রতীক নেওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ১৭ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর এ ব্যাপারে আমরা মন্তব্য করব।
হরতাল-অবরোধের পরেও কীভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে সহিংসতার মাত্রা কমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরাও চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা অনেক বেশি, তারা অনেক বেশি সুশৃঙ্খলা ও বড়। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যে সহিংসতা হয়েছে, তার তুলনায় এখন অনেক কম। আমরা বিশ্বাস করি, আর কয়েকদিন পর এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বিএসডি/আরপি