নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, সবশেষ এপ্রিল মাসে বিএনপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আমরা আসতে বলেছিলাম। চায়ের দাওয়াত দিয়েছি, বলেছিলাম আসেন কথা বলি। কিন্তু তারা আসনেনি। বিএনপি আমাদেরকে আস্থায় নিচ্ছে না। আমাদেরকে মানেই না।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, উনারা (বিএনপি) আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন না। এরপর আর কিছু বলার থাকে না। আমরা তো আর তাদেরকে জোর করে আনতে পারব না। আমাদের যতটুকু কর্তব্য এরমধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই। রাজনৈতিক বিষয় রাজনীতিবিদরাই সমাধান করবেন। কীভাবে সমাধান করবেন, সেটা তাদের বিষয়। তাদের মাঝে আমরা ঢুকব না।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে এখনো কোনো কিছু বলতে পারছি না। তাদের সঙ্গে বসব কি বসব না তফসিল ঘোষণার পর সিদ্ধান্ত নেব। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি তখন তাদের জানানোর প্রয়োজন হবে। আর প্রার্থী ভোটের দিন যেকোনো কেন্দ্রেই যেতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার খাতিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়ে যাওয়া উত্তম। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিতে পারবে।
মো. আনিছুর রহমান বলেন, ভোটার না আসার মতো কোনো পরিবেশ আমাদের সময়ে এখনো সৃষ্টি হয়নি। প্রার্থী এবং তাদের প্রতিনিধিরা যত বেশি ভোটারদের কাছে যাবে ভোটাররাও ততবেশি ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন। এরচেয়ে বেশি সহায়তা হয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার যদি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ডেকে সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন। আর জনগণের কথা আমি কী বলব, আমাদের কাজ আমরা করছি। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে হিরো আলমের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। নির্বাচন শেষ হওয়ায় প্রায় আধা ঘণ্টা আগে ঘটেছে। কিছু অতিউৎসাহী লোক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আসলে তারা ভালোর জন্য কিছু করে না। পণ্ড করার জন্যই করে। এজন্য তৎপরতা বৃদ্ধি করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম, লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, কুমিল্লা নির্বাচন কার্যালয়ের আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া।
বিএসডি / এলএম