আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চলছেই। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা বিক্ষোভে অংশ নিলেও তাদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে দেশের কিছু এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করতে টেলিকম কোম্পানিগুলোকে তালেবান নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউআইওএন। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিক্ষোভ চলতে থাকায় আফগানিস্তানের কিছু এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখতে টেলিকম্প কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে তালেবান। এছাড়া কিছু এলাকায় নারীদের মারধরের খবরও পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
বেশ কয়েকটি রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের খুউয়াজা বুগরা, তাইমানি, খাইর খানা, দাশত-এ বারচি এবং কাসাবা নামক এলাকাগুলোতে তালেবানের নির্দেশে ইতোমধ্যেই ইন্টারন্টে সেবা বন্ধ করা হয়েছে। বিক্ষোভ সংক্রান্ত তথ্যের প্রচার ও প্রসার ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন করা হলেও দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ হচ্ছে। এছাড়া বিক্ষোভ করতে মানুষকে তালেবানের অনুমতি নিতে হচ্ছে বলেও সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে।
এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের সরকার জানিয়েছে, এই ধরনের বিক্ষোভ নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে নাগরিকদের ক্ষতি করে। কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা না করতে সরকারের পক্ষকে নাগরিদের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ হতে হবে বৈধ, আর তাই (বিক্ষোভ আয়োজনের আগে) বিচার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিক্ষোভের উদ্দেশ্য জানাতে হবে।
এর পাশাপাশি বিক্ষোভে কি কি স্লোগান ও ব্যানার ব্যবহার করা হবে সেগুলোর তথ্য, বিক্ষোভের স্থানসহ বিক্ষোভ শুরুর ও শেষের সময় কর্তৃপক্ষকে আগাম জানাতে হবে।
এদিকে নারী বিক্ষোভকারীদেরকে তালেবান মারধর করেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম ডব্লিউআইওএন বলছে, বুধবার কাবুলে নারীদের বিক্ষোভ শুরু হওয়া মাত্রই সেখানে তালেবানের নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছে যায়। এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ফাইজাবাদেও নারীরা বিক্ষোভ করেছেন।