কেবল সরকারের নয়, বিচার বিভাগেরও বিচার হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নাগরিক সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রোজার দিনে শ্রমিকদের সামান্য দাবি ছিল ২ ঘণ্টা কম পরিশ্রম করার। রোজার মাসে ২ ঘণ্টা বিশ্রাম চাওয়ার জন্য তাদের কণ্ঠ পুরোপুরি রোধ করে দেওয়া হয়। এটাই আমরা দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, কণ্ঠস্বর এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, এমনকি পুলিশও কথা বলতে পারে না। সবার কণ্ঠস্বর এখন রুদ্ধ, মিথ্যাচার আমাদের ধর্ম হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে আমরা প্রথম দাবি করছি, একটা নিরপেক্ষ সাহসী বিচারপতির মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় তদন্তের। বিচারপতি চৌধুরী এনায়েতুর রহিমকে প্রধান করে যেন একটা কমিটি করা হয়, যাতে আর একজন শ্রমিকেরও মৃত্যু না হয়। শিল্পপ্রতিষ্ঠান তৈরি হবে দেশের, রাষ্ট্রের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার অত্যন্ত চালাকির সঙ্গে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শে আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রতিবাদের একটাই পথ আমি দেখি। সেই কারণেই আজকে আমাদের প্রথম দাবি, নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় একটা তদন্ত। বিচার কেবল সরকারের নয়, বিচার বিভাগেরও বিচার হওয়া দরকার।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ূম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।