নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের উইকেট মানেই স্পিন সহায়ক মন্থর উইকেট। পেসারদের জন্য ‘নিষ্প্রাণ’ বলা যায়। অথচ পাকিস্তানি পেসাররা বাজিমাত করে চলেছেন। ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশে হারানো ২১ উইকেটের ১৩টিই পেসারদের দখলে। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী পেসাররা নিয়েছেন ১৬ উইকেট। অথচ উল্টো অবস্থান বাংলাদেশি পেসারদের। চট্টগ্রাম টেস্টে মাত্র ২ উইকেট পেয়েছেন পেসাররা। ঢাকা টেস্টেও পায়ের নিচে মাটি নেই এবাদত-খালেদদের।
বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল মনে করছেন, এখানেই পিছিয়ে পড়ছেন স্বাগতিক পেসাররা। পাকিস্তানি পেসারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাফল্য পেয়ে বাড়তি কিছু করতে গিয়েই সুবিধা লরতে পারছেন না এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদরা। দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাবুল জানালেন, অন্য দেশের সাথে বাংলাদেশের পেসারদের তুলনা করলে দশের মধ্যে ৫-৬ দেবেন তিনি।
বাবুল বলেন, ‘একেক দেশ একেক রকম। আমাদের স্পিনাররা পেসারদের চেয়ে এগিয়ে থাকে। অন্য দেশের সাথে আমাদের পেসারদের তুলনা করলে দশের মধ্যে ৫-৬ দিব। পাকিস্তানের পেস বোলাররা ডমিনেট করছে, আমাদের উইকেট নিচ্ছে। তাদের সাথে আমাদের পেসাররা তুলনা করলে, উইকেট নিতে না পারার কথা ভাবলে হয়তো মানসিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে। উইকেট নেওয়ার জন্য বাড়তি কিছু করতে গিয়ে তাদের জায়গাগুলো নড়ে যাচ্ছে। এটা একটা কারণ হতে পারে।’
তবে বাবুল সাফাই গাইলেন পেসারদের হয়েই, ‘ওভাবে মূল্যায়ন করলে ভালো না আসলে। প্রথম বলে (দ্বিতীয় দিনে) চার হয়েছে। পয়েন্ট পেছনে ছিল, অফ স্টাম্পেই বেশি ফিল্ডার ছিল। ভালো বোলিং করা হয়নি আর কী। আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে ছিল। ওই অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি, এটাই বাস্তবতা।’
বাংলাদেশে তো তবুও স্পিনাররা বাড়তি দায়িত্ব নিচ্ছেন। তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজদের বদৌলতে কিছুটা পার পাওয়া গেলেও আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরের উইকেট হবে বাউন্সি। সেখানে পেসারদের দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষা।
বাবুল অবশ্য আশার বাণী শোনালেন, ‘নিউজিল্যান্ডে পেসবান্ধব উইকেট থাকে। বাংলাদেশের সেরা পেস ইউনিটই যাচ্ছে। যারা পারফর্ম করছে বা জোরে বল করছে। তাসকিন যাচ্ছে, এবাদত দিনদিন উন্নতি করছে। শহিদুল আছে শরিফুল আছে। খালেদ তো এই ম্যাচেও খেলছে। আশা করছি ছেলেরা ওখানে ভালো বোলিংই করবে। রেকর্ড যদিও অন্য কিছু বলে, তবে আমি আশা করি ভালো হবে।’
বিএসডি/এসএফ