বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করলে শিল্পী প্রতি দুই লাখ টাকা করে ফি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে গেলে চলচ্চিত্র শিল্প আগামী দুই বছরের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রোববার (৬ জুন) সচিবালয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা নীতিমালায় সংযোজন করেছি, দেশে বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারবে তবে প্রতি শিল্পীর জন্য দুই লাখ টাকা করে ফি দিতে হবে। যে টেলিভিশন এ বিজ্ঞাপন প্রচার করবে, সেই টেলিভিশনকেও এককালীন ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। এটি করে কেউ বিজ্ঞাপন বানাতে চাইলে বানাক। দেশীয় শিল্পী ও শিল্প রক্ষায় এটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যে প্রণোদনা ও উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছি, সেগুলো এখনও দৃশ্যমান হচ্ছে না। এগুলো দৃশ্যমান হবে এক বছরের মাথায় যদি করোনা চলে যায় বা কমে যায়। আমি আশা করছি দুই বছরের মাথায় চলচ্চিত্র শিল্প পরিপূর্ণভাবে ঘুরে দাঁড়াবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেড় বছর ধরে করোনা তারপরও চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য এমন অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-পাকিস্তানেও নেওয়া হয়নি। সিনেমা হল পুনরায় চালু করা, আধুনিকায়ন, নতুন সিনেমা হল স্থাপনের জন্য সরকার এক হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এছাড়া সিনেমা হল নির্মাণ ও বন্ধ সিনেমা হল চালু করতে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে দাবি ছিল না। এটি অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে।
গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সেটা ইভ্যালুয়েশন হচ্ছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে। এটা সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট। সেখানে বেশ কয়েকটি ফ্লোর থাকবে। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। আর এফডিসির উন্নয়নেও একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে এফডিসির একটি আউটলেট করার জন্য এক একর জায়গা এফডিসিকে দেওয়া হয়েছে। এফডিসির উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সমিতির নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি করে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, সেন্সর বোর্ডের সভাপতি বা মহাসচিবকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা, সেন্সর বোর্ডের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সময় পরিচালক উপস্থিত থাকাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।