নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশি শিল্প ও শিল্পীদের সুরক্ষার জন্য বিদেশি শিল্পী দিয়ে বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন বানালে শিল্পী প্রতি ২ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে। এছাড়া কোনো টেলিভিশন চ্যানেল যদি সেই বিজ্ঞাপন প্রচার করে সেক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে। এ দুটি বিষয়ে পরিপত্র জারি হয়েছে। আমরা সেটি প্রয়োগ করতে যাচ্ছি।
রোববার সরকারি সফরে ভারতের নয়াদিল্লীর পথে রওনার প্রাক্কালে তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমরা বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমোদনপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটর, ক্যাবল অপারেটর, ডিটিএইচ সেবা প্রদানকারীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলাম। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর পয়লা অক্টোবর থেকে কেউ যদি ক্লিন ফিড না চালায় এবং ক্যাবল অপারেটিং লাইসেন্স অনুযায়ী নিয়মকানুন না মানে তবে আমরা আইন প্রয়োগ করবো বলে জানিয়েছিলাম। যদি কেউ আইন না মানে সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে বিএনপি প্রতারণা ও অনৈসলামিক কাজ করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কারো লাশ না থাকা সত্ত্বেও সে স্থানকে তার কবর বলে চালিয়ে দেওয়া যেমন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা একই সঙ্গে অত্যন্ত অনৈসলামিক কাজ।
তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের লাশ কেউ দেখে নাই। তখনকার পত্রিকার কাটিং আমার মোবাইল ফোনেই আছে। পত্রিকা লিখেছে কেউ জিয়ার লাশ দেখে নাই। তারেক রহমান লাশ দেখতে খুব মিনতি করেছিলেন। তাকে দেখানো হয় নাই, খালেদা জিয়াও দেখেন নাই, কেউ দেখে নাই। রাঙ্গুনিয়ায় যে প্রথম কবর দেওয়া হয়েছিল বলা হচ্ছে, সেই কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সাক্ষী তখনকার চেয়ারম্যান জহির এখনো বেঁচে আছেন। তিনি বলেছেন, লাশ তোলা হয়েছিল কিন্তু আমরা জিয়ার লাশ দেখিনি। আসলে তারা পুরোপুরি মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছে।
নয়াদিল্লী সফরকালে সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. হাছান মাহমুদ। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বিএসডি/এমএম