বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল স্পটের জন্য চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা। প্রতিদিনই বদল হচ্ছে পয়েন্ট টেবিল, যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সমীকরণ। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যও প্রায় নিশ্চিত সবকিছু। বাকি থাকছে দুইটি জায়গা। যেখানে লড়াই করছে অন্তত ৪টি দল। দেখে মনে হতেই পারে, বিশ্বকাপের সেমিতে যেতে ইঁদুর-বিড়াল দৌঁড়ে মেতেছে চার দেশ।
এখন পর্যন্ত সেমির স্বপ্নে টিকে আছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। এদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের অবস্থানই সবচেয়ে ভাল। নাজুক অবস্থায় আছে পাকিস্তান। আবার শ্রীলঙ্কা বা নেদারল্যান্ডসের স্বপ্নটাও একেবারে মিলিয়ে যায়নি। অন্তত কাগজের হিসেবে তো টিকে আছে তারা।
সুবিধাজনক অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড
সবচেয়ে সহজ অবস্থায় আছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের মধ্যে যেকোন একটিতেই জিতলেই নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারে রেকর্ড ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শনিবার ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচের পর তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। সেমির আশা তাই খুব সহজেই করতে পারে প্যাট কামিন্সের দল।
নিউজিল্যান্ডের জন্যেও সমীকরণ প্রায় সহজ। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেও রানরেটে অনেকটা এগিয়ে যাবে তারা। পয়েন্ট হবে ১০। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান পরের ম্যাচ জিতলেও কিছুটা নির্ভার থাকবে গতবারের ফাইনালিস্টরা। তবে আফগানিস্তান যেন পরের দুই ম্যাচেই জয় না পায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে কেইন উইলিয়ামসনদের।
জটিল হিসেবের জালে পাকিস্তান
শনিবারের প্রথম ম্যাচে এরইমাঝে মাঠে অবস্থান করছে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচে পাকিস্তান জিতলে চলে আসছে টেবিলের ৫ম স্থানে। তবে সেক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের পেছনেই থাকতে হবে তাদের। আর তা যদি হয়, তবে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হার কামনা করতে হবে তাদের। তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তানের দিকেও। যদিও আফগানদের পরের দুই প্রতিপক্ষ বেশ কঠিন। সেক্ষেত্রে খানিকটা চিন্তা কম থাকছে বাবরদের।
তবে আজকের ম্যাচে পাকিস্তান যদি ৩৫ ওভারের আগেই রানতাড়া করতে সক্ষম হয়, তবে নিউজিল্যান্ডকে রানরেটে টপকে যাবে তারা। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেই চলবে তাদের।
আফগানিস্তানের সামনে সমীকরণ কেমন?
পরের দুই ম্যাচে আফগানিস্তানের জন্য অপেক্ষা করছে দুই কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। ৮ পয়েন্ট পাওয়া আফগানরা অন্তত ১ জয় পেলেই চলে যাবে ১০ পয়েন্টে। সেক্ষেত্রে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দেশের দিকেও। পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড ম্যাচে তারা প্রত্যাশা করবে পাকিস্তানের জয়। আবার শেষ ম্যাচে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড দুই দলেরই হার কামনা করতে হবে।
আর যদি নিজেরাই দুই ম্যাচ জিতে যায়, তবে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তাকিয়ে থাকতে হবে রানরেটের দিকে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্টও তখন (২ ম্যাচ জেতা সাপেক্ষে) ১২। নিউজিল্যান্ডও পাবে ১২ পয়েন্ট (দুই ম্যাচ জেতা সাপেক্ষে)। চার ম্যাচ জেতা আফগানদের জন্যও তাই হিসেব খুব একটা সহজ না।
বিএসডি / এলএম