রেনেকা আহমেদ অন্তু: আত্নরক্ষামুলক কৌশল যেনে রাখা বর্তমান সমাজে অন্য দশটা পেশাগত দক্ষতার মতই গুরুত্বপূর্ন এক দক্ষতা। বর্তমানে পাবলিক স্পেসে নগরের সববয়সের মানুষরাই কমবেশি নানা ধরনের- মানসিক, শারীরিক, সামাজিক অনিরাপত্তা বোধের মধ্য দিয়ে জীবন পার করছেন। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, নগরের যুবনারীদের আত্নরক্ষামুলক কৌশল সম্পর্কে অবগত থাকা সামগ্রিকভাবে নারীদের আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধিতে এবং সমাজে যৌনহয়রানি হ্রাসে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
সাহসী কন্যা, জেন্ডার সমতার লক্ষ্যে কাজ করা যুব সংগঠন শনিবার (২৯ মে) বেলা ৩টায়, বিশ্ব শান্তিরক্ষা দিবসকে উপলক্ষ্য করে জুমে ১২০মিনিট দৈর্ঘ্যের অনলাইন “প্রাথমিক আত্নরক্ষামূলক কৌশল কর্মশালা” আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন এসএ গেমস ২০১৯ কারাতে খেলায় স্বর্নজয়ী মারজান আক্তার প্রিয়া। কর্মশালায় ৬৫জন যুব নারী যুক্ত হয়েছিলো। কর্মশালাটির সহযোগিতায় ছিল প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের গার্ল গেট ইকুয়াল ইন পাব্লিক স্পেসঃ সেফার সিটিস ক্যাম্পেইন।
কর্মশালার শুরুতে সাহসী কন্যার ইয়ুথ এডমিনিস্টিটর রেনেকা আহমেদ অন্তু প্রশিক্ষক ও কর্মশালা অংশগ্রহনকারীদের কাছ থেকে আত্নরক্ষামূলক কৌশল জানার গুরুত্ব নিয়ে নিজ নিজ ব্যক্তিগত ভাবনা জানতে চান। পরবর্তীতে প্রশিক্ষক মারজান মৌখিকভাবে কর্মশালা অংশগ্রহনকারীদের আত্নরক্ষামূলক কৌশলের কিছু বেসিক টিপস দেন। কয়েকটি বেসিক আত্নরক্ষামূলক কৌশল যেমন- পাঞ্চ, কিক ইত্যাদির ডেমোও প্রদর্শন করেন।
মারজান প্রিয়া বলেন, “আত্মরক্ষা বলতে মারামারি নয়, বরং যেকোনো বিপদে নিজেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসতে পারাই আত্মরক্ষা।” কর্মশালায় কারাতে খেলার কিছু তথ্য, এ খেলার প্রতিষ্ঠিত খেলোয়ার হবার পেশাগত ভবিষ্যত নিয়েও আলোচনা হয়। হাত-পায়ের ব্যবহার করে পাঞ্চ, কিক, পুশ এধরনের সহজ কিছু কৌশল শেখা এবং যুবনারীদের আত্নরক্ষামূলক কৌশল জানার নানাবিধ সুবিধা সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর পর্বের মাধ্যমে প্রশিক্ষণটির সমাপ্তি ঘটে।