নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলো নির্দিষ্ট সময়ে শুরু করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও নিয়ম করে সব টুর্নামেন্টই মাঠে ফেরাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ, জাতীয় ক্রিকেট লিগের সঙ্গে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়ন্টি কাপের মতো টুর্নামেন্ট মাঠে ফিরলেও করোনাভাইসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ বা বিসিএল এখনো আয়োজন করতে পারেনি বিসিবি।
চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগের পরই বিসিএল ফেরাতে চায় বোর্ড। আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। সঙ্গে সাবেক এই অধিনায়ক জানান, এবার প্রথমবারের মতো প্রথম শ্রেণির পাশাপাশি ওয়ানডে ফরম্যাট যোগ হচ্ছে বিসিএলে।
সুজন বললেন, ‘বিসিএল ওয়ানডে ফরম্যাটের কথা চিন্তা করছি। যেহেতু প্রিমিয়ার লিগের আগে ওয়ানডে ফরম্যাটের কোনো খেলা নেই। দ্বিতীয় রাউন্ড সম্পন্ন করার মতো সময়ও নেই। সামনে আবার বিপিএল আছে। সূচি ঠাসা হয়ে গেছে। তাই ওয়ানডে ফরম্যাটের একটা টুর্নামেন্ট হতে পারে। প্রথম শ্রেণির খেলা সিঙ্গেল রাউন্ড হওয়ারই কথা। ওয়ানডেও মনে হয় সিঙ্গেল রাউন্ড হবে।’
বিসিএলে প্রতিনিধিত্ব করে ৪টি চল। যেখানে চারদিনের ফরম্যাটে খেলা হলেও ফাইনাল ম্যাচ হয় ৫ দিনের। এবার এই টুর্নামেন্ট হবে সিঙ্গেল রাউন্ডের। সাদা পোশাকের টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরেই মাঠে গড়াবে একদিনের ফরম্যাট।
বিসিএল শুরুর নির্দিষ্ট দিনক্ষণ সম্পর্কে সুজন বলেন, ‘বিসিএল তো শুরু করতেই হবে। ডিসেম্বর ৭-১০ তারিখের মধ্যে শুরু করতে চাই। আমি শুধু একটা কথাই বলেছি- আমরা যেন ভালো উইকেট তৈরি করতে পারি, বাউন্সি উইকেট তৈরি করতে পারি। মাঠগুলোকে বিশ্রাম দিয়ে দিয়ে খেলা আয়োজন করলে ভালো হবে। কোচদের পারিশ্রমিক বাড়াতে চাই।’
এ সময় বিসিএল মাঠে গড়ালে তখন চলবে পাকিস্তানেরর বিপক্ষে জাতীয় দলের টেস্ট সিরিজ। তখন পাওয়া যাবে না জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। সুজনের ব্যাখ্যা, ‘জাতীয় দলের কথা চিন্তা করলে তো বাংলাদেশে কোনো খেলাই হবে না। জাতীয় দলের যে ব্যস্ত সূচি, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে পাওয়ার কথা চিন্তা করলে হবে না। যেহেতু ওরা টেস্টের সফরে যাবে, ওদের ছাড়াই হয়ত খেলতে হবে। পাকিস্তানের সাথে টেস্ট শেষ করার কিছু দিন পরেই আবার নিউজিল্যান্ডে যাবে। তাই বিসিএল হয়ত ওরা মিস করবে।’