আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হামলায় সেনাবাহিনীর সদস্যসহ কমপক্ষে ৪৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কিছু লোক। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহরের কাছে চালানো ভয়াবহ সেই হামলায় নিহতদের মধ্যে সামরিক ও বেসামরিক লোকজন মানুষও রয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার (১৮ আগস্ট) বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলীয় আরবিন্দা শহরের নিকটবর্তী এক এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহী যোদ্ধারা হামলাটি চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ৩০ জন বেসামরিক মানুষ, ১৪ জন সরকারি সেনা ও তিনজন সরকারপন্থি মিলিশিয়া যোদ্ধা রয়েছেন।
পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় জানানো হয়, এ সময় সরকারি বাহিনীর পাল্টা অভিযানে ১৬ জন বিদ্রোহী যোদ্ধার মৃত্যু হয়। যদিও দেশটির একটি নিরাপত্তা সূত্র দাবি করছে, এবার সরকারি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারানো বিদ্রোহীর সংখ্যা ৫৮ জন।
বুরকিনা ফাসোর সরকার জানিয়েছে, বুধবার সেনাবাহিনীর কনভয়ে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। কনভয়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ছিলেন। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে চালানো হামলায় ৪৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের দাবি, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়ে ৫৮ জন বিদ্রোহী যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। আর বাকিরা আক্রমণ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, মালি এবং নাইজারের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে সশস্ত্র সংগঠন আল-কায়েদা এবং জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত জিহাদিদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মূলত এসব কারণে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল থেকে কয়েক মিলিয়ন সাধারণ মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন। এসব আক্রমণ ও সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন নারী-শিশুসহ হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ।
বিএসডি/এমএম