নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বুড়িগঙ্গায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজদের সন্ধান মিলেনি। ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ পৃথকভাবে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে নদীর উভয় তীরে নিখোঁজের আত্মীয়-স্বজনরা ধৈর্যহারা হয়ে উঠেছেন। অপেক্ষায় চার দিন ধরে এক কাপড়েই বসে আছেন অনেকেই।
এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্ত কমিটিকে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। যতক্ষণ ট্রলার ও নিখোঁজ আ জনের সন্ধান পাওয়া না যাবে ততক্ষণ আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ঘাতক লঞ্চ এমভি ফারহান-৬ এর মাস্টার, চালক ও সুকানির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় উল্লেখ্য করা হয় বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ঢাকাগামী এমভি ফারহান-৬ লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে এসে ৪০-৫০ জন যাত্রীসহ খেয়া পারাপারের একটি ট্রলারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় আটজন ট্রলারের যাত্রী নিখোঁজ হয়।
বিএসডি / আইপি