বৃষ্টি পুরোপুরি না থামা পর্যন্ত ডেঙ্গু থেকে স্বস্তি পাওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারি বর্ষণ হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ডিম ও লার্ভা ভেসে যায়। পাখা ভেঙে মারা যায় অনেক পূর্ণবয়স্ক মশা।এ কারণে মশার উপদ্রব, সেই সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছু দিনের জন্য কমতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁরা বলেছেন, বৃষ্টি থেমে থেমে না মুষলধারে হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বৃষ্টিতেও তাপমাত্রা কমছে কি না সেটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বৃষ্টি থামার পরই যদি গরম পড়ে যায়, তাহলে মশাও বাড়ার আশঙ্কা থাকে।কারণ ভারি বৃষ্টিতে মশার লার্ভা কমে ভেসে গেলেও নতুন করে মশার প্রজননস্থল তৈরি হয়। আর মশা প্রজননের উপযোগী তাপমাত্রা পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে মশা বাড়তে থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৮০ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। এমন গরম আবহাওয়ায় বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকলেও মশা বাড়বে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
জানা গেছে, তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বায়ুমণ্ডলের ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ আর্দ্রতা হলো এডিস মশা প্রজননের জন্য উপযোগী আবহাওয়া।
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ১৫৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই সময় মারা গেছে চারজন।গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির এমন তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত পাঁচ দিনের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে। গত বৃহস্পতিবার আক্রান্ত ছিল দুই হাজার ৮৮৯ জন, মৃত্যু চারজন। এর আগের দিন আক্রান্ত তিন হাজার ১৫ জন, মৃত্যু ২১ জন। তার আগের দিন ছিল আক্রান্ত তিন হাজার ২৭ জন, মৃত্যু সাতজনের।
গত এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকায় ৬৬৭ জন ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দুই হাজার ২৭৩ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৮১ হাজার ৮৫২। মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, গতকালের যে ভারি বৃষ্টি, এতে সাময়িক সময়ের জন্য হয়তো ডেঙ্গু কিছুটা কমতে পারে। কিন্তু আবার যদি থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, তাহলে কিন্তু কমে আবার বাড়বে। গত মাসে এমন হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারি বৃষ্টিতে যা হয়েছে, ছোট-বড় অনেক পাত্র যেখানে পানি জমে মশার লার্ভা তৈরি হয়েছিল, সেটা ভেসে গেছে। ভেসে গেলে নানা কারণে লার্ভা মারা যায়। এ ছাড়া ভারি বৃষ্টিতে উড়ন্ত মশার পাকা ভেঙে যায়। এতে অনেক মশা মারা পড়ে। এই দুই কারণে সপ্তাহের জন্য মশার উপদ্রব কিছুটা কমবে। আবার যদি থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, উপযুক্ত তাপমাত্রা থাকে, তাহলে আবার বাড়বে। অর্থাৎ বৃষ্টি পুরোপুরি না থামা পর্যন্ত স্বস্তি নেই।গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির এমন তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত পাঁচ দিনের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে। গত বৃহস্পতিবার আক্রান্ত ছিল দুই হাজার ৮৮৯ জন, মৃত্যু চারজন। এর আগের দিন আক্রান্ত তিন হাজার ১৫ জন, মৃত্যু ২১ জন। তার আগের দিন ছিল আক্রান্ত তিন হাজার ২৭ জন, মৃত্যু সাতজনের।
গত এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকায় ৬৬৭ জন ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দুই হাজার ২৭৩ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৮১ হাজার ৮৫২। মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, গতকালের যে ভারি বৃষ্টি, এতে সাময়িক সময়ের জন্য হয়তো ডেঙ্গু কিছুটা কমতে পারে। কিন্তু আবার যদি থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, তাহলে কিন্তু কমে আবার বাড়বে। গত মাসে এমন হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারি বৃষ্টিতে যা হয়েছে, ছোট-বড় অনেক পাত্র যেখানে পানি জমে মশার লার্ভা তৈরি হয়েছিল, সেটা ভেসে গেছে। ভেসে গেলে নানা কারণে লার্ভা মারা যায়। এ ছাড়া ভারি বৃষ্টিতে উড়ন্ত মশার পাকা ভেঙে যায়। এতে অনেক মশা মারা পড়ে। এই দুই কারণে সপ্তাহের জন্য মশার উপদ্রব কিছুটা কমবে। আবার যদি থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, উপযুক্ত তাপমাত্রা থাকে, তাহলে আবার বাড়বে। অর্থাৎ বৃষ্টি পুরোপুরি না থামা পর্যন্ত স্বস্তি নেই।
বিএস/এসএস