খেলাধূলা প্রতিনিধি:
১৮ মিনিটে প্রথম পেনাল্টি এনে দিয়েছেন এদের মিলিতাও। বল নিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ঢুকে পড়েছিলেন রিয়াল ডিফেন্ডার। তাঁকে আটকাতে গিয়ে ফেলে দেন নলিতো। পেনাল্টি থেকে এগিয়ে দেন বেনজেমা। এর আগে–পরে প্রথমার্ধে গোলের কোনো ভালো সুযোগ সৃষ্টি করেনি রিয়াল মাদ্রিদ। বরং তিনটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিল সেল্তা। ৩৯ মিনিটে গোল পেয়েও গিয়েছিল স্বাগতিক দল। কিন্তু সে গোল বাতিল করেছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধে টানা আক্রমণের ফল ৫২ মিনিটেই পেয়েছে সেল্তা। দারুণ এক প্রতি আক্রমণে রিয়াল রক্ষণ অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। জাভি গালানের ক্রসে রিয়ালের তিন ডিফেন্ডারের মাঝেও ফাঁকায় বল পেয়ে গেছেন নলিতো। এই উইঙ্গারের বাঁ পায়ের শট ঠেকাতে পারেননি থিবো কোর্তোয়া।
৬৩ মিনিটে পেনাল্টি এনে দিয়েছেন মাত্রই বদলি নামা রদ্রিগো। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে এবার ফেলে দেন মুরিলো। দ্বিতীয় পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ বেনজেমা। ডান দিকে ঠেকিয়ে মাতিয়াস দিতুরো ঠেকিয়ে দিয়েছেন বেনজেমার শট। কিন্তু এ নিয়ে খুব বেশিক্ষণ হাপিত্যেশ করতে হয়নি রিয়ালকে। ৩ মিনিট পরই আবার পেনাল্টি। এবার বাঁ প্রান্তে ফারলাঁ মেন্দিকে ফেলে দেন কেভিন ভাসকেজ।
আবারও পেনাল্টি নিতে এগিয়ে এসেছেন বেনজেমা। এবার আর ভুল করেননি ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার। এবারও নিজের বাঁ দিকে শট নিয়েছেন বেনজেমা। কিন্তু এবার আর দিতুরো সঠিক দিকে ঝাঁপ দিতে পারেননি।
এরপরও যে রিয়াল স্বস্তিতে ছিল এমন নয়, বরং বারবার সেল্তার আক্রমণ ভয় জাগিয়েছে রিয়ালের রক্ষণে। আক্রমণের চেষ্টা ছিল রিয়ালেরও। বিশেষ করে রদ্রিগো বেশ কিছু দারুণ আক্রমণ করেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গিয়ে তালগোল পাকিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত এ ব্যবধান ধরে রেখেই মাঠ ছেড়েছে রিয়াল।
এ জয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে দুইয়ে থাকা সেভিয়ার চেয়ে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে আছে রিয়াল।
বিএসডি/ এমআর