আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আজ পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ জন্য লারকানায় গারহি খুদা বক্স ভুট্টোতে সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। ৬০ ফুট চওড়া মূল মঞ্চ সাজানো হয়েছে তিন রঙের জাতীয় পতাকা, ব্যানার, বেনজির ভুট্টো, কেন্দ্রীয় অন্য নেতাদের পূর্ণ অবয়বের ছবি দিয়ে। চারপাশে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিন নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত করা হয়েছে ৩০ জন এসএসপি পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা, ৮০ জন ডিএসপি পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং নারী পুলিশদেরও। স্থাপন করা হয়েছে ১৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশপথগুলোতে বসানো হয়েছে ৭০টি গেট। এ উপলক্ষে জনসভায় মনিটর করতে বসানো হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম।
এতে বেনজির ভুট্টোর ছেলে ও পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও অন্য মূল নেতাদের বক্তব্য রাখার কথা আছে। এ জন্য সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলীর সঙ্গে রবিবার নাউদেরোতে পৌঁছেছেন বিলাওয়াল ভুট্টো। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় কর্মী ও ভুট্টো পরিবারের ভক্তরা সমাবেশস্থলে যোগ দেয়া শুরু করেছেন।
ওদিকে পিপিপির প্রয়াত চেয়ারপারসন বেনজির ভুট্টোর প্রতি শ্রদ্ধ জানানো হয়েছে ‘ইয়াদ-ই-বেনজির কনফারেন্সে’। দলটির যুব শাখার আয়োজনে স্যার শাহনাওয়াজ ভুট্টো মেমোরিয়াল লাইব্রেরিতে এই সম্মেলন হয়েছে। এতে বক্তারা বলেছেন, ১৮ অক্টোবর এবং ২৭ ডিসেম্বরের ট্রাজেডি একটি একক ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে পাকিস্তানের তখনকার প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এবং সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী ড. আরবাব গুলাম রহিমের নাম অনুর্ভুক্তির দাবি জানান তারা।
বিএসডি/ এলএল