নিজস্ব প্রতিবেদক:
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ, তোপখানা রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (মহাজোট)-এর উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২৭মে ২০২১, তারিখের পূর্বে আবেদিত ও দলিলকৃত সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবারের (১১ সেপ্টেম্বর)সাংবাদিক সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ বদরুল আমিন সরকার (ফরহাদ) আহবায়ক, মহাজোট, উপস্থিত ছিলেন মহাজোটের সকল নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশের মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে ১জুলাই ১৯৭৩, তারিখে এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় প্রথমত: ৩২ হাজার এবং পরবর্তীতে বাদ পড়া আরো ৪৩২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে দেশকে প্রাথমিক শিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্ত করেন। দীর্ঘ ৪০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখনই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মানীয় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হাতে নিয়েছেন, তখনই ৯ জানুয়ারি ২০১৩, তারিখে এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় ২৬১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকগণকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে জাতির পিতার মতো আরো একটি ইতিহাস রচনা করেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জাতীয়করণকালীন যে পরিসংখ্যান করা হয়েছিল তা সঠিক না হওয়ায় আরো জাতীয়করণযোগ্য উপজেলা, জেলা হতে যাচাই-বাছাইকৃত ও ২৭মে ২০১২, তারিখের পূর্বে দলিলকৃত সকল বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি। সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী মধ্য দিয়ে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ঘোষণায় বেসরকারি শিক্ষক নামক অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (মহাজোট)-কে মুক্ত করবেন।
ইতিপূর্বে বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য ২০১৮ সালে ১৮ দিন ও ২০১৯ সালে ৫৬ দিন ও ২০২১ সালে ৭ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও অনশন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। তখনকার সময় আকরাম আল হাসান অতিরিক্ত সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি দল এসে বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তাবায়ন করেননি। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো জাতীয়করণের আওতায় আনলে দেশের বেকারত্ব দূর হবে। এবং ঘরে ঘরে চাকুরীর ব্যবস্থা হবে। যা বর্তমান সরকার জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।
এসময় বক্তারা বলেন ,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্দেশ্য করে জানাতে চাই আগামী ৫ই অক্টোবর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মধ্যে আমাদের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো জাতীয়করণ ও কর্মরত শিক্ষকদের সরকারি করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে আমরা আগামী ১০ই অক্টোবর ২০২১ তারিখের মধ্যে শিক্ষক সমাবেশের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলন দিতে বাধ্য হবে।
এ সময় সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ সাহিদুল ইসলাম (সাইদুল), শেখ মতিয়ার রহমান, এম.এইচ. কবির, মোঃ ফরিদুল ইসলাম, মোঃ আল আমিন সরকার, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মোঃ আবু সাইদ, মোঃ লিটন খান, মোঃ মোবারক হোসেন, মোঃ বশির আহমেদ, মোঃ শাহদাৎ হোসেন, মোঃ মোখলেছুর রহমান মানিক, লীলা রানী, মোঃ ওমর ফারুক, আব্দুর রহিম, আব্দুস সামাদ সফি, মোঃ শামসুদ্দিন ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিএসডি/আইপি