নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙামাটিতে দ্রুত বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এরই মধ্যে রাঙামাটিকে উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু তবুও স্বাস্থবিধি মানছেন না সাধারণ মানুষ। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরোপ করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। জেলা প্রশাসন বলছে, করোনা সংক্রমণ রোধে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে নেওয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈচিত্র্যময় রাঙামাটি এখন করোনার দখলে। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপারের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। আরোপ করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধও।
জেলা সিভিল সার্জেনের তথ্য মতে, গত নভেম্বর মাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল আটজন, ডিসেম্বরে তা দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। আর চলতি মাসে ১৭ তারিখ পর্যন্ত ৩৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে রাঙামাটি সদরে ১৪, কাপ্তাই ১৩, নানিয়ারচর ১, জুরাছড়ি ২, রাজস্থলী ২, বিলাইছড়ি উপজেলায় দুজন। করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়াই নানা শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রাও।
স্থানীয়রা বলছেন, বেশ কিছু দিন রাঙামাটি একেবারে করোনামুক্ত ছিল। কিন্তু দেশি-বিদেশে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তেই করোনা সংক্রমণও দ্রুত বেড়ে চলেছে। পর্যটকদের আরও সচেতন করা উচিত। বিশেষ করে হোটেল-মোটেলগুলোতে স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো গেলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন জানান, করোনার ক্লান্তিকালে সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে জেলা পুলিশ বাহিনী। সংক্রমণ রোধে পর্যটন স্পটগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্রমণ করতে পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, উচ্চ সংক্রমণ দেখে প্রস্তুত রাখা হয়েছে করোনা রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট। একই সাথে নিশ্চিত করা হয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেনও। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ঢাকায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং রাঙামাটিতে শনাক্তের হার ১০ শতাংশ।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলেই নেওয়া হচ্ছে শাস্তির ব্যবস্থা। মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ৪টি ভ্রম্যমাণ আদালত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিএসডি/ এলএল