ঢাকাই ছবির নায়িকা পরীমনির মামলায় গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে সাত দিনের রয়েছেন নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, রিমান্ডে তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘দুজনেই পরীমনিকে গালে থাপ্পড় মারা ও তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া সেদিন বোট ক্লাবে কি ঘটেছিল? কার কি ভূমিকা ছিল সবকিছুই সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আছে।’
ভিডিওতে দেখা যায়, রাত ১২টা ২২ মিনিটের সময় ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে একটি কালো গাড়ি থামে। সেই গাড়িটির মালিক বোট ক্লাবের সদস্য তুহিন সিদ্দকী অমির। গাড়ির সামনের দরজা থেকে নামেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।পেছনের ডান পাশের দরজা দিয়ে বের হন গ্রেফতার হওয়া অমি, পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ও তার বোন বনি।
ক্লাবের বাইরের ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ক্লাবে ঢোকার সময় পরীমনি কালো টপস, জিন্সের প্যান্ট পরা ছিলেন। বনি লাল টপস, সঙ্গে জিন্সের প্যান্ট এবং জিমি কালো হাতাকাটা গেঞ্জি ও হাফ প্যান্ট পরা ছিলেন। অমির পরনে ছিল সাদা গেঞ্জি ও গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট। শুধুমাত্র অমি ছাড়া বাকি সবাই মাস্ক পরে ক্লাবে প্রবেশ করেন।
রিসিপশনের ক্যামেরায় তাদের চারজনকে একসঙ্গে বারে ঢুকতে দেখা যায়। তখন রিসিপশন ডেস্কে ছিলেন দুইজন এবং ডেস্কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরও একজন স্টাফ।
দেড় ঘণ্টা পর পরীমনিকে অচেতন অবস্থায় কোলে করে দৌড়ে বের হতে দেখা যায় জিমি ও একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে। পেছন আসেন অমিও। ক্লাবে অমির কালো গাড়িতে গেলেও পরীমনি ফিরেছেন সাদা রঙের একটি গাড়িতে। এ সময় অমি সাহায্য তো করেনইনি উল্টো শাসিয়েছেন সবাইকে।
৯ জুন আশুলিয়ার বিরুলিয়ার তুরাগ নদীর ধারে নির্মিত বোট ক্লাবে পরীমনি মারধর ও লাঞ্ছনার শিকার হন। পরীমনি অভিযোগ করেন সেখানে নাসির ইউ মাহমুদ জোর করে তার মুখে মদ ঢেলে দেন। এই ঘটনায় পরীমনি বাদী হয়ে সাভার থানায় মামলা করলে গোয়েন্দা পুলিশ নাসির, অমি ও ৩ নারীকে উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে। ক্লাবটিতে পরীমনিকে তার পূর্ব পরিচিত অমি নিয়ে যান।