অর্থনীতি ডেস্ক:
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কমতে থাকে ব্যাংকের কর্মী সংখ্যা। কেউ চাকরি ছেড়েছেন, আবার অনেককে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে। কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নারীকর্মীও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন নারী ও পুরুষ কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ কর্মী রয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৭১ জন আর নারী ২৯ হাজার ৫১৩ জন। অর্থাৎ ব্যাংকে মোট কর্মীর মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণ ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) নারীকর্মী বেড়েছে এক হাজার ১৩৫ জন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকে নারীকর্মীর সংখ্যা ছিলো ২৮ হাজার ৩৭৮ জন। জুনের শেষে তা ২৯ হাজার ৫১৩ জনে উঠেছে। অন্যদিকে গত ছয় মাসে পুরুষকর্মী বেড়েছে দুই হাজার ৪৪৩ জন। গত ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংকিং খাতে পুরুষকর্মী ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৮ জন।
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে নারী রয়েছেন ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ, মধ্যবর্তীতে ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। একই সময়ে ৫০ বছরের বেশি নারী কর্মকর্তাদের হার ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং ৩০ বছরের কম বয়সী নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর হার ২২ দশমিক ১১ শতাংশ।
ষাণ্মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংকে মোট ৫০ হাজার ৫৬৭জন কর্মরত ছিলেন। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছে ৪২ হাজার ৫৪৪ জন এবং নারীকর্মীর সংখ্যা ৮ হাজার ২৩ জন। যা মোট কর্মরতের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
তিন বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকে মোট কর্মরত রয়েছেন ১৩ হাজার ৩০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষকর্মী রয়েছেন ১১ হাজার ৪৭৭ জন এবং নারী ১ হাজার ৮২৮ জন। মোট কর্মরতদের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণের হার মাত্র ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
আলোচিত সময়ে বোর্ড সদস্য হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে মাত্র ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকে বোর্ড সদস্য অংশগ্রহণের হার বেশি ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকে এই হার সবচেয়ে কম। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বোর্ডে নারী সদস্য রয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পুরুষের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৫৪ জন এবং নারীর সংখ্যা এক হাজার ১৬ জন। মোট জনবলের ১৬ শতাংশ নারী, আর ৮৪ শতাংশই রয়েছেন পুরুষকর্মী।
বিএসডি/আইপি